টর্পেডো শ্যেন । একেবার ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই টর্পেডো । হালকা ওজনের ওই টর্পেডোটি ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রসম্ভারের অন্যতম সেরা হাতিয়ার । তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (DRDO)-র নাভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ল্যাবরেটরি । নয়ের দশকে এই টর্পেডো তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । দীর্ঘদিনের পরীক্ষার পরে সাফল্য আসে । তৈরি হয় টর্পেডো শ্যেন । সাবমেরিন ধ্বংস করতে অব্যর্থ এই টর্পেডো । 2012 সালের মার্চ মাস থেকে নৌসেনার সেবায় নিয়োজিত শ্যেন ।
যে কোনও মুহূর্তে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে DRDO-র তৈরি এই বিশেষ টর্পেডোটি । ওজনে অনেকটাই হালকা । মাত্র 220 কেজি । দৈর্ঘ্য 2.75 মিটার । ব্যাস 12.8 ইঞ্চি । নয়ের দশকে নাভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ল্যাবরেটরির অ্যাডভান্সড এক্সপেরিমেন্টাল টর্পেডো প্রোগ্রামে শ্যেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । শ্যেনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এই টর্পেডো শুধুমাত্র জাহাজ বা সাবমেরিন থেকেই নয়, হেলিকপ্টার থেকেও লঞ্চ করা যায় । আকাশ থেকে এই টর্পেডো লঞ্চ হওয়ার পর, জলের ভিতরে ঢুকে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করতে সক্ষম ।
শ্যেনের ইঞ্জিন পুরোপুরি বিদ্যুত চালিত । 61 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার থেকেও বেশি গতিতে শত্রুপক্ষের সাবমেরিনে আঘাত হানতে সক্ষম । অল্প জল হোক বা গভীর জল, সব রকম জলস্তরেই সমান দক্ষ শ্যেন । 540 মিটার পর্যন্ত গভীরেও জলের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এই টর্পেডোর । অতি শক্তিশালী ওয়ারহেড বহনে সক্ষম শ্যেন । DRDO-র তৈরি এই টর্পেডোর ওয়ারহেডের ওজন 50 কেজি ।
ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রসম্ভারে এই মুহূর্তে 1700 টিরও বেশি শ্যেন রয়েছে । এছাড়া মায়ানমারকেও বিক্রি করা হয়েছে শ্যেন । 2017 সালে মায়ানমার সরকার ভারতের থেকে 160 টি শ্যেন কেনার জন্য চুক্তি করে । 37.9 মিলিয়ন অ্যামেরিকান ডলারের বিনিময়ে এই চুক্তি হয় ।