ETV Bharat / bharat

এই সরকার তর্জন-গর্জনের সরকার, কটাক্ষ চিদম্বরমের - পি চিদম্বরম

কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম । ETV ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন নিজের মতের স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন ।

P Chidambaram
ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jan 1, 2020, 11:47 AM IST

Updated : Jan 1, 2020, 4:40 PM IST

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : মোদি সরকারের আর্থিক নীতির অন্যতম কট্টর সমালোচক তিনি । বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । বেকারত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ, কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম । ETV ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন নিজের মতের স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন । সাক্ষাৎকার নিলেন বৈথিস্বরণ বি ।

ETV ভারত (প্রশ্ন) : আপনি বলেছেন, দেশের বর্তমান অর্থনীতি ICU-তে চলে গেছে । কিন্তু সরকার তা অস্বীকার করেছে । সরকারের দাবি, বর্তমানের সংস্কারের ভালো ফল মিলছে । আপনার মত কী ?

চিদম্বরম (উত্তর) : আমি ICU শব্দটি ব্যবহার করিনি । আসলে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল মুখ্য মাস কয়েক আগে । মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মনমের এক সাক্ষাৎকারে । সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম । কিন্তু উত্তর পাইনি ।

আসলে এই সরকার ধাপ্পাবাজি, তর্জন-গর্জনের সরকার । এরা আসল তথ্য তুলে ধরতে চায় না । এজন্যই এই সরকার বলছে, আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো । আমি ভীত । শুধু আমি নই, কেউ বিশ্বাস করবেন না দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে ।

প্রশ্ন : সরকারের বর্তমান আর্থিক সংস্কার নিয়ে কী বলবেন ? কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে । আপনার মত কী ?

উত্তর : আমি মনে করি না, কর্পোরেট কর কমানোটা কোনও সংস্কার । আসলে, এটি একটি ভুল পদক্ষেপ । এর ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে । কর যদি কমাতেই হত তাহলে পরোক্ষ কর কমাতে হত । কর্পোরেট কর প্রত্যক্ষ কর । এটি বর্ধনশীল । এই কর কমানো ভুল পদক্ষেপ ।

ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন চিদম্বরম । ভিডিয়োয় শুনুন...

প্রশ্ন : সরকার যে তথ্য পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা সঠিক নয় বলে আপনি মন্তব্য করেছেন । কেন্দ্র ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে তদন্তের জন্য । আপনি কী বলবেন ?

উত্তর : সম্প্রতি পরিসংখ্যানই বলছে, সরকারের প্রদেয় তথ্য কতটা প্রশ্নাতীত । বেকারত্ব প্রসঙ্গে যে তথ্য মিলেছে তা কোনওমতে গ্রহণযোগ্য নয় । প্রণব সেনের নেতৃত্বাধীন কমিটি নিয়োগ করার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি । কিন্তু একটা কথা দ্রুত বলতে চাই, যে তথ্য মিলবে তা কোনওমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয় । ছ'বছর আগেই সব বিশ্বাসযোগ্যতা চলে গেছে ।

প্রশ্ন : অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ কমছে বলে জানিয়েছে সরকার । আপনার অভিমত কী ? আপনি কি মনে করেন এটা একটা আর্থিক সংস্কার ?

উত্তর : আমি মনে করি না এটি একটি সংস্কার । আমি সম্পূর্ণ আমার মত বলছি । সাধারণ মানুষ তাদের অভিমত জানাতে পারবে । NPA-এর সাম্প্রতিকতম তথ্য সংগ্রহ করলেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে । কীভাবে আর্থিক গতি নিম্নমুখী তাও বোঝা যাবে ।

প্রশ্ন : কর্মসংস্থানের বর্তমান ছবিটা কেমন দেখছেন ? সাধারণ মানুষের উপর তার প্রভাব কেমন ?

উত্তর : কর্মসংস্থানের হার নিম্নমুখী । CMIE-র তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে 3-4 কোটি কর্মসংস্থান কমেছে । বেসরকারি ক্ষেত্রেও বড়রকম কর্মসংস্থান আমার চোখে পড়েনি । এই প্রেক্ষিতেই আমার অভিমত কর্মসংস্থানের গতি নিম্নমুখী এবং তা ক্রমেই পড়ছে ।

যদিও তা সরকার অস্বীকার করছে । আমরা সবাই আসলটা জানি । কর্মসংস্থানের হার পড়ছে এবং পড়ে চলেছে ।

প্রশ্ন : ব্যক্তিগত আয় কর কমালে কি বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতাকে ঠেকানো যাবে ?

উত্তর : এখন আয় কর কমানোর সঠিক সময় নয় । যদি করই কমাতে হয় তাহলে পরোক্ষ কর কমানো উচিত । শুল্ক এবং পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এমনই একটি পরোক্ষ কর ।

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : মোদি সরকারের আর্থিক নীতির অন্যতম কট্টর সমালোচক তিনি । বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । বেকারত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ, কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম । ETV ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন নিজের মতের স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন । সাক্ষাৎকার নিলেন বৈথিস্বরণ বি ।

ETV ভারত (প্রশ্ন) : আপনি বলেছেন, দেশের বর্তমান অর্থনীতি ICU-তে চলে গেছে । কিন্তু সরকার তা অস্বীকার করেছে । সরকারের দাবি, বর্তমানের সংস্কারের ভালো ফল মিলছে । আপনার মত কী ?

চিদম্বরম (উত্তর) : আমি ICU শব্দটি ব্যবহার করিনি । আসলে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল মুখ্য মাস কয়েক আগে । মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মনমের এক সাক্ষাৎকারে । সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম । কিন্তু উত্তর পাইনি ।

আসলে এই সরকার ধাপ্পাবাজি, তর্জন-গর্জনের সরকার । এরা আসল তথ্য তুলে ধরতে চায় না । এজন্যই এই সরকার বলছে, আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো । আমি ভীত । শুধু আমি নই, কেউ বিশ্বাস করবেন না দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে ।

প্রশ্ন : সরকারের বর্তমান আর্থিক সংস্কার নিয়ে কী বলবেন ? কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে । আপনার মত কী ?

উত্তর : আমি মনে করি না, কর্পোরেট কর কমানোটা কোনও সংস্কার । আসলে, এটি একটি ভুল পদক্ষেপ । এর ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে । কর যদি কমাতেই হত তাহলে পরোক্ষ কর কমাতে হত । কর্পোরেট কর প্রত্যক্ষ কর । এটি বর্ধনশীল । এই কর কমানো ভুল পদক্ষেপ ।

ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন চিদম্বরম । ভিডিয়োয় শুনুন...

প্রশ্ন : সরকার যে তথ্য পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা সঠিক নয় বলে আপনি মন্তব্য করেছেন । কেন্দ্র ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে তদন্তের জন্য । আপনি কী বলবেন ?

উত্তর : সম্প্রতি পরিসংখ্যানই বলছে, সরকারের প্রদেয় তথ্য কতটা প্রশ্নাতীত । বেকারত্ব প্রসঙ্গে যে তথ্য মিলেছে তা কোনওমতে গ্রহণযোগ্য নয় । প্রণব সেনের নেতৃত্বাধীন কমিটি নিয়োগ করার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি । কিন্তু একটা কথা দ্রুত বলতে চাই, যে তথ্য মিলবে তা কোনওমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয় । ছ'বছর আগেই সব বিশ্বাসযোগ্যতা চলে গেছে ।

প্রশ্ন : অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ কমছে বলে জানিয়েছে সরকার । আপনার অভিমত কী ? আপনি কি মনে করেন এটা একটা আর্থিক সংস্কার ?

উত্তর : আমি মনে করি না এটি একটি সংস্কার । আমি সম্পূর্ণ আমার মত বলছি । সাধারণ মানুষ তাদের অভিমত জানাতে পারবে । NPA-এর সাম্প্রতিকতম তথ্য সংগ্রহ করলেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে । কীভাবে আর্থিক গতি নিম্নমুখী তাও বোঝা যাবে ।

প্রশ্ন : কর্মসংস্থানের বর্তমান ছবিটা কেমন দেখছেন ? সাধারণ মানুষের উপর তার প্রভাব কেমন ?

উত্তর : কর্মসংস্থানের হার নিম্নমুখী । CMIE-র তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে 3-4 কোটি কর্মসংস্থান কমেছে । বেসরকারি ক্ষেত্রেও বড়রকম কর্মসংস্থান আমার চোখে পড়েনি । এই প্রেক্ষিতেই আমার অভিমত কর্মসংস্থানের গতি নিম্নমুখী এবং তা ক্রমেই পড়ছে ।

যদিও তা সরকার অস্বীকার করছে । আমরা সবাই আসলটা জানি । কর্মসংস্থানের হার পড়ছে এবং পড়ে চলেছে ।

প্রশ্ন : ব্যক্তিগত আয় কর কমালে কি বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতাকে ঠেকানো যাবে ?

উত্তর : এখন আয় কর কমানোর সঠিক সময় নয় । যদি করই কমাতে হয় তাহলে পরোক্ষ কর কমানো উচিত । শুল্ক এবং পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এমনই একটি পরোক্ষ কর ।

New Delhi, Jan 01 (ANI): A review study has found that children drinking whole milk had 40 per cent lower chances of getting overweight or obese as compared to the ones who drank reduced-fat milk. The study was conducted by analysing 28 other studies from seven different countries involving the exploration of the relationship between children who drink cow's milk and their risk of being obese or overweight. None of the 28 studies involving a total of 21,000 children of up to the age of 18-years showed that children drinking reduced-fat milk had lower odds of being obese or overweight. On the contrary, 18 studies suggested that children that consumed whole milk had a lesser likelihood of being overweight or obese.
Last Updated : Jan 1, 2020, 4:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.