ETV Bharat / bharat

ভারতে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বিনা উপার্জনে একমাসও টিকতে পারবেন না, দাবি সমীক্ষায় - উপার্জন

সাম্প্রতিক IANS CVoter ইকোনমিক ব্যাটারি ওয়েভের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের 28.2 শতাংশ পুরুষ বিনা উপার্জনে এক মাসেরও কম সময় টিকে থাকতে পারবেন। 10.7 শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরের বেশি সময় জীবন কাটাতে পারবেন।

IANS CVoter economic battery wave survey
IANS CVoter economic battery wave survey
author img

By

Published : Jun 11, 2020, 4:11 PM IST

দিল্লি, 11 জুন: বিনা উপার্জনে, সঞ্চয় খরচ করে এক মাসের বেশি বাঁচা সম্ভব নয় অর্ধেকের বেশি ভারতীয়র, এক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দীর্ঘ লকডাউন ও দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ায় কর্মহীন হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বাঁচবেন বা সংসার চালাবেন, তা সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

IANS -র সাম্প্রতিক CVoter ইকোনমিক ব্যাটারি ওয়েভ সমীক্ষা অনুযায়ী, 28.2 শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা এক মাসও বিনা উপার্জনের কাটাতে পারবেন না, 20.7 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক মাস বিনা উপার্জনে থাকতে পারবেন।

10.2 শতাংশ মানুষ দুই মাস, 8.3 শতাংশ মানুষ তিন মাস, 9.7 শতাংশ মানুষ চার থেকে ছয় মাস এবং 5.7 শতাংশ মানুষ এক বছরের কম সময় বিনা উপার্জনে সংসার চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

উত্তরদাতাদের অধিকাংশ শতাংশই এক মাসের কম বা এক মাস কাটাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

এই তথ্যগুলি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং স্যাম্পলের পরিমাণ 1,397, যা দেশের 500 টি লোকসভা আসনে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি সাপ্তাহিক ট্র্যাকার, যেখানে এক হাজারেরও বেশি নতুন উত্তরদাতা রয়েছেন।

সমীক্ষায় মহিলাদের ক্ষেত্রেও এক মাস বা তার কম সময়ে বিনা রোজগারে টিকে থাকার পরিসংখ্যান পুরুষদের সমান। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এক মাসের কমের তুলনায় এক মাসের বেশি সময় টিকে থাকার সংখ্যাটি পরিমাণে অধিক।

19.9 শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন বিনা চাকরি বা রোজগারে তারা এক মাসের কম সময়ে টিকে থাকতে পারবেন, 28.4 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক মাস বিনা রোজগারে থাকতে পারবেন। 11.5 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক বছরেরও বেশি সময় বিনা রোজগারে থাকতে পারবেন।

এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়েছে, বিনা রোজগারে টিকে থাকার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে প্রবীণদের। 60 ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে 19.2 শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন।

বিনা উপার্জনে টিকে থাকার লড়াইয়ে সবথেকে নিচে রয়েছেন 25 থেকে 40 বছর বয়সী যুব প্রজন্ম। এদের মধ্যে 28.6 শতাংশ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসও টিকতে পারবেন না।

প্রাথমিকভাবে, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি এবং উপার্জন বাকিদের তুলনায় বেশি, তারাই বিনা উপার্জনে বেশিদিন থাকতে পারবেন। তবে সব ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান কার্যকরী নয়।

সামাজিক বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে উচ্চশিক্ষিত শ্রেণির 31.6 শতাংশ জানিয়েছে, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরের সময় থাকতে পারবে। অধিক উপার্জনকারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি 29.6 শতাংশ।

ভারতের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে শিল্প ও উন্নত পশ্চিম ভাগ সবথেকে ভালো রয়েছে লকডাউনে। তাদের মধ্যে কেবল 17.2 শতাংশ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসের কম সময় বেঁচে থাকতে পারবেন। অন্যদিকে15 শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরেরও বেশি সময় থাকতে পারবেন।

ভারতের পূর্বভাগ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত, যেখানে 30.4 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসেরও কম সময় থাকতে পারবেন। গোটা পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে 48 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বিনা উপার্জনে তাদের পক্ষে এক মাস বা তার কম সময় টিকে থাকা সম্ভব।

দিল্লি, 11 জুন: বিনা উপার্জনে, সঞ্চয় খরচ করে এক মাসের বেশি বাঁচা সম্ভব নয় অর্ধেকের বেশি ভারতীয়র, এক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দীর্ঘ লকডাউন ও দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ায় কর্মহীন হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বাঁচবেন বা সংসার চালাবেন, তা সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

IANS -র সাম্প্রতিক CVoter ইকোনমিক ব্যাটারি ওয়েভ সমীক্ষা অনুযায়ী, 28.2 শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা এক মাসও বিনা উপার্জনের কাটাতে পারবেন না, 20.7 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক মাস বিনা উপার্জনে থাকতে পারবেন।

10.2 শতাংশ মানুষ দুই মাস, 8.3 শতাংশ মানুষ তিন মাস, 9.7 শতাংশ মানুষ চার থেকে ছয় মাস এবং 5.7 শতাংশ মানুষ এক বছরের কম সময় বিনা উপার্জনে সংসার চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

উত্তরদাতাদের অধিকাংশ শতাংশই এক মাসের কম বা এক মাস কাটাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

এই তথ্যগুলি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং স্যাম্পলের পরিমাণ 1,397, যা দেশের 500 টি লোকসভা আসনে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি সাপ্তাহিক ট্র্যাকার, যেখানে এক হাজারেরও বেশি নতুন উত্তরদাতা রয়েছেন।

সমীক্ষায় মহিলাদের ক্ষেত্রেও এক মাস বা তার কম সময়ে বিনা রোজগারে টিকে থাকার পরিসংখ্যান পুরুষদের সমান। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এক মাসের কমের তুলনায় এক মাসের বেশি সময় টিকে থাকার সংখ্যাটি পরিমাণে অধিক।

19.9 শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন বিনা চাকরি বা রোজগারে তারা এক মাসের কম সময়ে টিকে থাকতে পারবেন, 28.4 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক মাস বিনা রোজগারে থাকতে পারবেন। 11.5 শতাংশ জানিয়েছেন তারা এক বছরেরও বেশি সময় বিনা রোজগারে থাকতে পারবেন।

এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়েছে, বিনা রোজগারে টিকে থাকার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে প্রবীণদের। 60 ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে 19.2 শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন।

বিনা উপার্জনে টিকে থাকার লড়াইয়ে সবথেকে নিচে রয়েছেন 25 থেকে 40 বছর বয়সী যুব প্রজন্ম। এদের মধ্যে 28.6 শতাংশ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসও টিকতে পারবেন না।

প্রাথমিকভাবে, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি এবং উপার্জন বাকিদের তুলনায় বেশি, তারাই বিনা উপার্জনে বেশিদিন থাকতে পারবেন। তবে সব ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান কার্যকরী নয়।

সামাজিক বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে উচ্চশিক্ষিত শ্রেণির 31.6 শতাংশ জানিয়েছে, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরের সময় থাকতে পারবে। অধিক উপার্জনকারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি 29.6 শতাংশ।

ভারতের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে শিল্প ও উন্নত পশ্চিম ভাগ সবথেকে ভালো রয়েছে লকডাউনে। তাদের মধ্যে কেবল 17.2 শতাংশ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসের কম সময় বেঁচে থাকতে পারবেন। অন্যদিকে15 শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বিনা উপার্জনে এক বছরেরও বেশি সময় থাকতে পারবেন।

ভারতের পূর্বভাগ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত, যেখানে 30.4 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা বিনা উপার্জনে এক মাসেরও কম সময় থাকতে পারবেন। গোটা পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে 48 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বিনা উপার্জনে তাদের পক্ষে এক মাস বা তার কম সময় টিকে থাকা সম্ভব।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.