দিল্লি, 18 জুলাই : কোরোনা পরিস্থিতিতে যথেষ্ট আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া । এমতাবস্থায় কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটি, কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারী উভয়ের পক্ষেই লাভজনক হবে বলে শুক্রবার বিমান সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয় ।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, LWP (লিভ উইদাউট পে) স্কিমে প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছায় কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটির অনুমতি দেওয়া হয়েছে । মঙ্গলবার এয়ারলাইন্সের তরফে জারি করা একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকায় দক্ষতা, স্বাস্থ্য ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে যাদের পাঁচ বছর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া যাবে এমন কর্মীদের চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও আঞ্চলিক ডিরেক্টরদের বলা হয় ।
"LWP স্কিমে কর্মী এবং সংস্থা উভয়ই উপকৃত হবে । কারণ এটি কর্মীদের ফ্লেক্সিবিলিটি দেবে । পাশাপাশি কর্মীদের বেতন বাবদ সংস্থার খরচও কমাবে ।" এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে ।
বিমার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই স্কিম যাতে ন্যায় ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যকর করা হয় সেটি নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ ।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, "সংস্থার সামগ্রিক উন্নতি হয় কি না তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্কিমটি খুব সামান্য প্রয়োগের জন্য চালু করা হচ্ছে৷'' কয়েকশো-র বেশি কর্মী অতীতে এই LWP স্কিমটি নিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থা ।
প্রসঙ্গত, বিমান সংস্থাটির প্রায় 70,000 কোটি টাকার দেনা রয়েছে এবং সরকার এ'বছর জানুয়ারিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে । 2018-19 সালে এয়ার ইন্ডিয়ার মোট লোকসান হয় প্রায় 8,500 কোটি টাকা । অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি বৃহস্পতিবার বলেন, প্রতিবছর 500 থেকে 600 কোটি টাকার ইক্যুইটি দেওয়া সম্ভব নয় এবং এয়ার ইন্ডিয়ায় ব্যয় কমানো জরুরি । তিনি জানান, এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চাইলেও এটি সম্ভব নয় কারণ কোরোন পরিস্থিতিতে সমাজের দুর্বল অংশগুলিকে ত্রাণ দেওয়ার মতো অন্যান্য চাহিদাও পূরণ করতে হবে কেন্দ্রকে । প্যানডেমিক চলাকালীন ভারত ও অন্যান্য দেশে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞার জেরে বিমান সংস্থাগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়েছে । ভারতের সমস্ত বিমান সংস্থাই আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মীদের বেতন কেটে নেওয়া, LWP, এমনকী কর্মী ছাঁটাইও করেছে ।