ETV Bharat / bharat

স্বপ্ন পূরণের লড়াই, 64 বছরে এমবিবিএসে ভরতি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিক - ' জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস ' : 64 বছর বয়সে নিট পাশ করে ভরতি হলেন মেডিকেলে

ওড়িশার বরগড় জেলার আতাবিরার জয় কিশোর প্রধান ৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন ৷ এবার অধরা স্বপ্নকে ছুঁতে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভরতি হলেন বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এবং রিসার্চ কলেজে ৷

64-year-old-retired-bank-official-in-odisha-enrols-in-mbbs
ওড়িশার বরগড় জেলার আতাবিরার জয় কিশোর প্রধান
author img

By

Published : Dec 26, 2020, 9:24 AM IST

কটক, 26 ডিসেম্বর : স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার ৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি ৷ তবে, আশা ছাড়েননি ৷ 64 বছর বয়সে এসে দিলেন নিট পরীক্ষা ৷ ব্যস , বাজিমাত ৷ যেমনটা কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ পরীক্ষায় পাশও করলেন ভালোভাবেই ৷ এরপর ভরতি হলেন ডাক্তারি কলেজে ৷ শুরু করলেন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস ৷

ওড়িশার বরগড় জেলার আতাবিরার জয় কিশোর প্রধান ৷ পেশায় অবসরপ্রাপ্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন ৷ এবার অধরা স্বপ্নকে ছুঁতে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভরতি হলেন বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এবং রিসার্চ কলেজে ৷

জয় কিশোর প্রধান এবিষয়ে বলেন, " উচ্চমাধ্যমিকের পরেই আমি মেডিকেলের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিই ৷ কিন্তু তখন পাশ করিনি ৷ এরপর সায়েন্স নিয়ে স্নাতক পরীক্ষা দিই ৷ ব্যাঙ্কে চাকরি পাই আমি ৷ বাড়িতে সেই সময় আমরা পাঁচ ভাই ৷ সংসারে কর্তব্য পালনের জন্য সেইসময় আমি চাকরিটা ছাড়তে পারিনি ৷ কিন্তু , আমি সবসময়ই চাইতাম অন্তত আর একবার মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে ৷ এরপর ব্যাঙ্ক থেকে অবসরের পর আমি 2016 সালে ফের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি ৷ " বর্তমানে তিনি নিট ও মেডিকেল প্রবেশিকায় পাশ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোটায় এমবিবিএস -এ ভরতি হয়েছেন ৷

নিট পরীক্ষায় বসার জন্য চূড়ান্ত বয়সসীমা থাকে 25 বছর ৷ তবে তিনি কীভাবে পরীক্ষা দিলেন ? উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই ৷ 2018 সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন ফাইল করেন ৷ এরপর নিটের তরফে 25-এর ঊর্ধ্বে সমস্ত আবেদনকারীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় ৷

বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এবং রিসার্চ কলেজের ডিরেক্টর প্রফেসর ললিত মেহের জানান, জয় কিশোর প্রধান এই কলেজের সবথেকে বয়স্ক ছাত্র ৷ মেডিকেল পড়াশোনার ইতিহাসে এটা বিরল ৷ তিনি এই বয়সে মেডিকেল পড়তে এসে অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন ৷

জয় কিশোরের দুই যমজ মেয়ে আর এক ছেলে ৷ তাঁর এক মেয়ে 2016 সালে যখন মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেইসময়ই তিনিও পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রতিভা ৷ যিনি নিজেও একজন ফার্মাসিস্ট ৷ তাঁর এক মেয়ে এখন ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি পড়ছেন । মাসখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে অন্য মেয়ের । ছেলে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে ।

মেয়ে হারানোর শোক কাটিয়ে নিজের পড়াশোনায় মগ্ন তিনি । জানেন চিকিৎসকের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই । তারপরও মন দিয়ে পড়ে এমবিবিএস পাশ করতে চান । তাঁর কথায়, " আমার পড়াশোনার খরচ নিয়ে কোনও চিন্তা নেই ৷ আমি এটাও জানি, এই বয়সে এসে আমি পড়াশোনার পর কোনও চাকরি পাব না ৷ তবে, আমি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে পারব ৷ "

কটক, 26 ডিসেম্বর : স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার ৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি ৷ তবে, আশা ছাড়েননি ৷ 64 বছর বয়সে এসে দিলেন নিট পরীক্ষা ৷ ব্যস , বাজিমাত ৷ যেমনটা কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ পরীক্ষায় পাশও করলেন ভালোভাবেই ৷ এরপর ভরতি হলেন ডাক্তারি কলেজে ৷ শুরু করলেন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস ৷

ওড়িশার বরগড় জেলার আতাবিরার জয় কিশোর প্রধান ৷ পেশায় অবসরপ্রাপ্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন ৷ এবার অধরা স্বপ্নকে ছুঁতে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভরতি হলেন বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এবং রিসার্চ কলেজে ৷

জয় কিশোর প্রধান এবিষয়ে বলেন, " উচ্চমাধ্যমিকের পরেই আমি মেডিকেলের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিই ৷ কিন্তু তখন পাশ করিনি ৷ এরপর সায়েন্স নিয়ে স্নাতক পরীক্ষা দিই ৷ ব্যাঙ্কে চাকরি পাই আমি ৷ বাড়িতে সেই সময় আমরা পাঁচ ভাই ৷ সংসারে কর্তব্য পালনের জন্য সেইসময় আমি চাকরিটা ছাড়তে পারিনি ৷ কিন্তু , আমি সবসময়ই চাইতাম অন্তত আর একবার মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে ৷ এরপর ব্যাঙ্ক থেকে অবসরের পর আমি 2016 সালে ফের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি ৷ " বর্তমানে তিনি নিট ও মেডিকেল প্রবেশিকায় পাশ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোটায় এমবিবিএস -এ ভরতি হয়েছেন ৷

নিট পরীক্ষায় বসার জন্য চূড়ান্ত বয়সসীমা থাকে 25 বছর ৷ তবে তিনি কীভাবে পরীক্ষা দিলেন ? উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই ৷ 2018 সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন ফাইল করেন ৷ এরপর নিটের তরফে 25-এর ঊর্ধ্বে সমস্ত আবেদনকারীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় ৷

বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এবং রিসার্চ কলেজের ডিরেক্টর প্রফেসর ললিত মেহের জানান, জয় কিশোর প্রধান এই কলেজের সবথেকে বয়স্ক ছাত্র ৷ মেডিকেল পড়াশোনার ইতিহাসে এটা বিরল ৷ তিনি এই বয়সে মেডিকেল পড়তে এসে অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন ৷

জয় কিশোরের দুই যমজ মেয়ে আর এক ছেলে ৷ তাঁর এক মেয়ে 2016 সালে যখন মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেইসময়ই তিনিও পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রতিভা ৷ যিনি নিজেও একজন ফার্মাসিস্ট ৷ তাঁর এক মেয়ে এখন ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি পড়ছেন । মাসখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে অন্য মেয়ের । ছেলে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে ।

মেয়ে হারানোর শোক কাটিয়ে নিজের পড়াশোনায় মগ্ন তিনি । জানেন চিকিৎসকের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই । তারপরও মন দিয়ে পড়ে এমবিবিএস পাশ করতে চান । তাঁর কথায়, " আমার পড়াশোনার খরচ নিয়ে কোনও চিন্তা নেই ৷ আমি এটাও জানি, এই বয়সে এসে আমি পড়াশোনার পর কোনও চাকরি পাব না ৷ তবে, আমি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে পারব ৷ "

For All Latest Updates

TAGGED:

কটক
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.