ETV Bharat / bharat

কোনও সম্পর্কে মহিলাদের প্রতারণার চারটি প্রধান কারণ - সম্পর্কে মহিলাদের প্রতারণা

কেউ যদি বিবাহ বহির্ভূত বা বৈধ সম্পর্কের বাইরে গিয়ে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে যান , তখন তাঁদের সমাজ অপরাধীদের চোখে দেখে । বিশেষ করে মহিলাদের বিষয়ে । কিন্তু কেন তাঁরা এভাবে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ আছে ।

women cheat in a relationship
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Dec 5, 2020, 11:00 AM IST

আমরা যখন জানতে পারি এমন কারও সম্পর্কে, যে নিজের সঙ্গীকে ঠকাচ্ছে , তখন সমাজ হিসাবে সবসময় আমাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই হল তাকে প্রতারক হিসাবে ধরে নেওয়া । আমরা প্রতারণাকে অনৈতিক কাজ বলে গণ্য করে থাকি , যা কোনও মন্দ মানুষই করতে পারে । কিন্তু কী হবে যদি আমরা আপনাদের বলি, এদের মধ্যে অনেকেই মানুষ হিসাবে খুব একা । এমনকী, বিষয়টা যখন মহিলাদের উপর কেন্দ্রীভূত হয়, তখন একাধিক আবেগপ্রবণ কারণের অস্তিত্ত্ব থাকে । যার জন্য কেউ নিজের সম্পর্কের বাইরে কারও কাছে স্নেহের খোঁজ করতে যায় । এই কারণগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় হল , ওই মহিলার বৈধ সম্পর্কে তার একজন ভালো সঙ্গী হয়ে থাকার ধন্যবাদহীন দায়িত্ব পালন । বিবাহ তথা পরিবার সংক্রান্ত থেরাপিস্ট উইনিফ্রেড রিইলির মতে, “মহিলারা এসে আমাকে বলেন, “আমি একা হয়ে পড়েছিলাম, সঙ্গীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না । সঙ্গীর ঘনিষ্ঠ ছিলাম না এবং সম্পর্কে আমার কোনও গুরুত্বই ছিল না ।” তাঁর মতে , ওই মহিলারা এমন কাউকে খোঁজেন যাঁরা তাঁদের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে এবং নিজের চোখেই তাঁদের আরও আবেদনময়ী মনে করাবে । এখানে চারটি কারণ উল্লেখ করা হল যা আপনাদের সাহায্য করবে , সম্পর্কে প্রতারণা করেছেন এমন মহিলাদের সম্পর্কে কোনও প্রাকধারণার বশবর্তী না হতে এবং বুঝতে, ঠিক কী মানসিকতা থেকে তাঁরা সেই পথে হেঁটেছিল ।

তারা নিজেদের প্রশংসার অযোগ্য, অবহেলিত মনে করেন

আমরা যেমন সমাজে বাস করি, সেখানে এটাই অলিখিত নিয়ম যে মহিলারাই ঘরবাড়ি আর সন্তানের দেখাশোনা করবেন । প্রতিদিন এই কাজের জন্য তাঁদের যে পরিমাণ পরিশ্রম দিতে হয়, স্বামীরা তার কখনও প্রশংসা করেন না । ফলে সেই মহিলাদের নিজেদের স্ত্রী বা সম্পর্কে সমান সম্মানপ্রাপ্ত সঙ্গীর বদলে একজন হাউসকিপার, ন্যানি অথবা পরিষেবা প্রদানকারী বলে মনে হয় । তাই তখন তাঁরা এমন কাউকে খোঁজেন, যাঁরা তাঁর কাজের নয় , তাঁর প্রশংসা করবেন ।

তাঁরা নিঃসঙ্গ

একটা সময়ের পর সঙ্গীরা কোনও সম্পর্ককে আগের মতো উৎসাহব্যঞ্জক করে তোলার চেষ্টা বন্ধ করে দেন । যখন কোনও স্বামীর দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজকর্ম চলে, তিনি যদি সেভাবে স্ত্রীর সান্নিধ্যে না আসতে না পারেন অথবা স্ত্রীকে মানসিক নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তখন স্ত্রী একাকীবোধ করতে শুরু করেন, এমনকী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতেও একাকীবোধ করেন ।

তাঁরা ঘনিষ্ঠতা চান

ঘনিষ্ঠতার অর্থ কেবল শারীরিকভাবে কাছাকাছি আসা নয় । হতে পারে, সেই সব মহিলারা স্বামীর সঙ্গে কোনও পার্টিতে যেতে চান কিংবা সোফায় গুটিয়ে শুয়ে একসঙ্গে কোনও সিনেমা দেখতে চান বা একটু মজা করতে চান । সংক্ষেপে হাউসকিপার বা কেয়ারগিভারের তকমার ঊর্ধ্বে উঠে স্ত্রী তথা সঙ্গীর জীবন কাটাতে চান । কোনও সম্পর্কে যখন তাঁদের এই প্রয়োজনটি মেটে না , তখনই তাঁরা সেই শূন্যতা অন্য কোনও সঙ্গীর মাধ্যমে মেটাতে চান ।

তাঁদের যৌনজীবন সুখের নয়

সোজা কথাটা সোজাসুজিই বলা যাক । সম্পর্কে শারীরিক মিলনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । এতটাই যে তার অভাব কোনও সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দিতে পারে । এই ধারণা ভ্রান্ত যে শুধুমাত্র পুরুষদেরই শারীরিক মিলনের দরকার হয় বা তাঁরাই এটি পছন্দ করেন । আর এই ভ্রান্ত ধারণার জেরেই স্বামীরা স্ত্রীদের ইচ্ছা বা চাহিদাকে গুরুত্বই দেন না । সেই বঞ্চনা মেটাতে, সেই সুখের সন্ধানে, বৈধ সম্পর্কের বাইরে অন্য সঙ্গী খোঁজেন মহিলারা ।

আমরা যখন জানতে পারি এমন কারও সম্পর্কে, যে নিজের সঙ্গীকে ঠকাচ্ছে , তখন সমাজ হিসাবে সবসময় আমাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই হল তাকে প্রতারক হিসাবে ধরে নেওয়া । আমরা প্রতারণাকে অনৈতিক কাজ বলে গণ্য করে থাকি , যা কোনও মন্দ মানুষই করতে পারে । কিন্তু কী হবে যদি আমরা আপনাদের বলি, এদের মধ্যে অনেকেই মানুষ হিসাবে খুব একা । এমনকী, বিষয়টা যখন মহিলাদের উপর কেন্দ্রীভূত হয়, তখন একাধিক আবেগপ্রবণ কারণের অস্তিত্ত্ব থাকে । যার জন্য কেউ নিজের সম্পর্কের বাইরে কারও কাছে স্নেহের খোঁজ করতে যায় । এই কারণগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় হল , ওই মহিলার বৈধ সম্পর্কে তার একজন ভালো সঙ্গী হয়ে থাকার ধন্যবাদহীন দায়িত্ব পালন । বিবাহ তথা পরিবার সংক্রান্ত থেরাপিস্ট উইনিফ্রেড রিইলির মতে, “মহিলারা এসে আমাকে বলেন, “আমি একা হয়ে পড়েছিলাম, সঙ্গীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না । সঙ্গীর ঘনিষ্ঠ ছিলাম না এবং সম্পর্কে আমার কোনও গুরুত্বই ছিল না ।” তাঁর মতে , ওই মহিলারা এমন কাউকে খোঁজেন যাঁরা তাঁদের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে এবং নিজের চোখেই তাঁদের আরও আবেদনময়ী মনে করাবে । এখানে চারটি কারণ উল্লেখ করা হল যা আপনাদের সাহায্য করবে , সম্পর্কে প্রতারণা করেছেন এমন মহিলাদের সম্পর্কে কোনও প্রাকধারণার বশবর্তী না হতে এবং বুঝতে, ঠিক কী মানসিকতা থেকে তাঁরা সেই পথে হেঁটেছিল ।

তারা নিজেদের প্রশংসার অযোগ্য, অবহেলিত মনে করেন

আমরা যেমন সমাজে বাস করি, সেখানে এটাই অলিখিত নিয়ম যে মহিলারাই ঘরবাড়ি আর সন্তানের দেখাশোনা করবেন । প্রতিদিন এই কাজের জন্য তাঁদের যে পরিমাণ পরিশ্রম দিতে হয়, স্বামীরা তার কখনও প্রশংসা করেন না । ফলে সেই মহিলাদের নিজেদের স্ত্রী বা সম্পর্কে সমান সম্মানপ্রাপ্ত সঙ্গীর বদলে একজন হাউসকিপার, ন্যানি অথবা পরিষেবা প্রদানকারী বলে মনে হয় । তাই তখন তাঁরা এমন কাউকে খোঁজেন, যাঁরা তাঁর কাজের নয় , তাঁর প্রশংসা করবেন ।

তাঁরা নিঃসঙ্গ

একটা সময়ের পর সঙ্গীরা কোনও সম্পর্ককে আগের মতো উৎসাহব্যঞ্জক করে তোলার চেষ্টা বন্ধ করে দেন । যখন কোনও স্বামীর দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজকর্ম চলে, তিনি যদি সেভাবে স্ত্রীর সান্নিধ্যে না আসতে না পারেন অথবা স্ত্রীকে মানসিক নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তখন স্ত্রী একাকীবোধ করতে শুরু করেন, এমনকী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতেও একাকীবোধ করেন ।

তাঁরা ঘনিষ্ঠতা চান

ঘনিষ্ঠতার অর্থ কেবল শারীরিকভাবে কাছাকাছি আসা নয় । হতে পারে, সেই সব মহিলারা স্বামীর সঙ্গে কোনও পার্টিতে যেতে চান কিংবা সোফায় গুটিয়ে শুয়ে একসঙ্গে কোনও সিনেমা দেখতে চান বা একটু মজা করতে চান । সংক্ষেপে হাউসকিপার বা কেয়ারগিভারের তকমার ঊর্ধ্বে উঠে স্ত্রী তথা সঙ্গীর জীবন কাটাতে চান । কোনও সম্পর্কে যখন তাঁদের এই প্রয়োজনটি মেটে না , তখনই তাঁরা সেই শূন্যতা অন্য কোনও সঙ্গীর মাধ্যমে মেটাতে চান ।

তাঁদের যৌনজীবন সুখের নয়

সোজা কথাটা সোজাসুজিই বলা যাক । সম্পর্কে শারীরিক মিলনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । এতটাই যে তার অভাব কোনও সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দিতে পারে । এই ধারণা ভ্রান্ত যে শুধুমাত্র পুরুষদেরই শারীরিক মিলনের দরকার হয় বা তাঁরাই এটি পছন্দ করেন । আর এই ভ্রান্ত ধারণার জেরেই স্বামীরা স্ত্রীদের ইচ্ছা বা চাহিদাকে গুরুত্বই দেন না । সেই বঞ্চনা মেটাতে, সেই সুখের সন্ধানে, বৈধ সম্পর্কের বাইরে অন্য সঙ্গী খোঁজেন মহিলারা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.