ETV Bharat / bharat

হেঁটে রওনা দিয়েছিল বাড়ির উদ্দেশে, পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু কিশোরীর

author img

By

Published : Apr 21, 2020, 1:51 PM IST

দু'মাস আগে কাজ করতে গেছিল তেলাঙ্গানায় । তারমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আর বাড়ি ফিরতে পারেনি । অগত্যা হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত । কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হল বছর বারোর জামলো মাদকমের ।

ছবি
ছবি

রায়পুর, 21 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছে অনেকে । সবাই বাড়ি ফেরার চেষ্টায় । কেউ অনাহারে ভুগছে । কারও গলায় আতঙ্ক স্পষ্ট । ইচ্ছে একবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার । সেও ফিরতে চেয়েছিল বাড়ি । দেখা করতে চেয়েছিল পরিবারের লোকজনের সঙ্গে । হেঁটে প্রায় 150 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল । কিন্তু অধরা থেকে গেল গন্তব্য । আর বাড়ি ফেরা হল না । বাড়ি পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হল বছর বারোর কিশোরীর ।

জামলো মাদকম । ছত্তিসগড়ের বিজাপুরের বাসিন্দা । কাজ করত তেলাঙ্গানায় । সম্প্রতি লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানেই আটকে পড়ে সে । ভেবেছিল লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরবে । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় তেলাঙ্গানাতেই থাকতে হয় তাকে । এদিকে, কাজ বন্ধ । টাকাও ফুরাচ্ছে । থাকার জায়গারও নিশ্চয়তা নেই । বাড়ি ফেরার প্রবল ইচ্ছে । সহকর্মীদের অনেকেই প্রায় পথ হেঁটে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া । শেষমেশ হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় জামলো । আর আবেগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্তই কাল হল । 15 এপ্রিল তেলাঙ্গানা থেকে বিজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় সে । কিন্তু গ্রামে পৌঁছানোর মাত্র এক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হল তার ।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অপুষ্টি ও ডিহাইড্রেশনে মত্যু হয়েছে জামলোর । এবিষয়ে একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "তার শরীরে কোরোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি । তার শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের তারতম্য ঘটায় মৃত্যু হয়েছে ।"

এবিষয়ে জামলোর বাবা জানান, "ও দু'মাস আগে তেলাঙ্গানা গেছিল । দলের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল । অনেকদিন ধরেই ঠিকমতো কিছু খায়নি শুনলাম । প্রায় তিনদিন হেঁটেছে । রাস্তায় অনেকবার বমিও করেছে । পেটে ব্যথাও ছিল ।"

ছত্তিশগড় সরকার জামলোর পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে ।

রায়পুর, 21 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছে অনেকে । সবাই বাড়ি ফেরার চেষ্টায় । কেউ অনাহারে ভুগছে । কারও গলায় আতঙ্ক স্পষ্ট । ইচ্ছে একবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার । সেও ফিরতে চেয়েছিল বাড়ি । দেখা করতে চেয়েছিল পরিবারের লোকজনের সঙ্গে । হেঁটে প্রায় 150 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল । কিন্তু অধরা থেকে গেল গন্তব্য । আর বাড়ি ফেরা হল না । বাড়ি পৌঁছানোর এক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হল বছর বারোর কিশোরীর ।

জামলো মাদকম । ছত্তিসগড়ের বিজাপুরের বাসিন্দা । কাজ করত তেলাঙ্গানায় । সম্প্রতি লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানেই আটকে পড়ে সে । ভেবেছিল লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরবে । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় তেলাঙ্গানাতেই থাকতে হয় তাকে । এদিকে, কাজ বন্ধ । টাকাও ফুরাচ্ছে । থাকার জায়গারও নিশ্চয়তা নেই । বাড়ি ফেরার প্রবল ইচ্ছে । সহকর্মীদের অনেকেই প্রায় পথ হেঁটে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া । শেষমেশ হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় জামলো । আর আবেগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্তই কাল হল । 15 এপ্রিল তেলাঙ্গানা থেকে বিজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় সে । কিন্তু গ্রামে পৌঁছানোর মাত্র এক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হল তার ।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অপুষ্টি ও ডিহাইড্রেশনে মত্যু হয়েছে জামলোর । এবিষয়ে একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "তার শরীরে কোরোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি । তার শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের তারতম্য ঘটায় মৃত্যু হয়েছে ।"

এবিষয়ে জামলোর বাবা জানান, "ও দু'মাস আগে তেলাঙ্গানা গেছিল । দলের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল । অনেকদিন ধরেই ঠিকমতো কিছু খায়নি শুনলাম । প্রায় তিনদিন হেঁটেছে । রাস্তায় অনেকবার বমিও করেছে । পেটে ব্যথাও ছিল ।"

ছত্তিশগড় সরকার জামলোর পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.