কোটা, 7 জুন: রাজস্থানের কোটায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল বাংলার এক ছাত্রের ৷ জানা গিয়েছে, তিনি নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ মহাবীর নগর থানা এলাকায় ওই কোচিং-এর ছাত্রকে তাঁর ঘরের বাইরে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় । সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রুম পার্টনার ও বাড়িওয়ালা তাঁকে এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
হাসপাতালের পক্ষ থেকেই খবর দেওয়া হয় এমবিএস পুলিশ ফাঁড়ি মহাবীর নগর থানায় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ মহাবীর নগর থানার এএসআই হরিয়ম জানিয়েছেন, মৃতের নাম পরিতোষ কোহিরি । তাঁর বয়স 18 বছর ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার বাসিন্দা । বর্তমানে মহাবীর নগরে থেকে নিট-এর কোচিং নিচ্ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের । মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করেছে এমবিএস চৌকি থানার পুলিশ ।
মৃত ছাত্রের বন্ধু আনন্দ জানান, পরিতোষকে ঘরের বাইরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । কীভাবে পরিতোষের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে আপাতত কিছু জানা যায়নি । যে বাড়িতে ওই ছাত্র থাকতেন, তার মালিক বিশাল বাকলিওয়াল বলেছেন যে, মহাবীর নগর 2-এ তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে । নিহত ছাত্র পরিতোষ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখানেই বসবাস করছিলেন । আজ তাঁর বন্ধু তাঁর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কথা জানায় । এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর মামলায় ফের ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট, খড়গপুর আইআইটির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ
পরিতোষের রুম পার্টনার আনন্দের কথায়, "সকালেই পরিতোষের সঙ্গে কথা হয় । আমি তাঁকে বললাম, আমার বাবা-মাকে নিয়ে যেতে । ফিরে এসে পরিতোষকে অচেতন অবস্থায় দেখি । সঙ্গে সঙ্গে আমরা পিজি মালিক বিশাল বাকলিওয়ালের সঙ্গে তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাই । সেখান থেকে তাঁকে এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।" আনন্দ বলেছেন যে, তাঁদের দুজনের দেখা হয়েছিল কোচিং সেন্টারে । এরপর গত 4 মাস ধরে দুজনেই এখানে একটি ঘর নিয়ে বসবাস করছিলেন । আগে তাঁরা একই হস্টেলে আলাদা কক্ষে থাকতেন বলে জানিয়েছেন আনন্দ ।
জানা গিয়েছে, সামনের বছরই নিট দেওয়ার কথা ছিল পরিতোষের ৷ আনন্দ কুমার বলেন যে, পরিতোষ গত এক বছর ধরে কোটায় কোচিং করছেন ৷ জানুয়ারি মাসে তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন । তাঁর হেপাটাইটিস হয়েছিল । এমন পরিস্থিতিতে তিনি দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে নিজের বাড়িতে ছিলেন । তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে রোজই পরিতোষের কথা হত ৷ তাঁর আচার-আচরণও কোনওভাবেই অস্বাভাবিক মনে হয়নি এবং পড়াশোনাতেও তিনি খুব ভালো ছিলেন বলে জানান আনন্দ । তিনি জানান, বর্তমানে পরিতোষ নিট-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং পরের বছরই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷