বিজয়নগর (কর্ণাটক), 25 নভেম্বর: পাত্র কর্ণাটকের (Karnataka) বিজয়নগরের (Vijayanagar) বাসিন্দা ৷ আর পাত্রীর বাড়ি সুদূর বেলজিয়ামে (Belgium) ৷ শুক্রবার একেবারের হিন্দু রীতিনীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হল এই যুগল ৷ সেই উপলক্ষ্যেই বসেছিল এলাহি বিয়ের আসর (Grand Marriage Ceremony) ৷ হাম্পিতে (Hampi) আয়োজিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানে বিরুপাক্ষেশ্বরের উপস্থিতিতে প্রিয়তমার গলায় মঙ্গলসূত্র পরালেন 'ঘরের ছেলে' ৷
বিদেশিনী এই বধূর নাম ক্যামিলি ৷ এদিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বক্ষণই হাসিখুশি ছিলেন তিনি ৷ তাঁর জীবনসঙ্গীর নাম অনন্তরাজু ৷ দুই দূর দেশের দুই যুবার প্রেম শুরু হয়েছিল প্রায় চারবছর আগে ৷ শাস্ত্র মতে শুক্রবার সকাল 9টা 25 মিনিটে ছিল পুণ্য কুম্ভ লগ্ন ৷ সেই লগ্নেই চারহাত এক হয়ে গেল ৷ সাক্ষী থাকলেন দুই তরফের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় এবং বন্ধুরা ৷
আরও পড়ুন: অন্তিম শয্যায় শায়িত প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন অসমের যুবক
রেণুকাম্মা এবং তাঁর স্বর্গীয় স্বামী অঞ্জিনাপ্পার ছেলে অনন্তরাজু ৷ হাম্পি জনতা প্লট এলাকার বাসিন্দা তাঁরা ৷ অনন্তরাজু পেশায় অটোচালক ৷ হাম্পিতে গাইডের কাজও করেন তিনি ৷ অন্যদিকে, ক্যামিলি একজন সমাজকর্মী ৷ তাঁর কর্মভূমি বেলজিয়াম ৷ চারবছর আগে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ক্য়ামিলিও হাম্পিতে বেড়াতে আসেন ৷ সেই সময় অনন্তরাজু নানাভাবে এই পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করেন ৷ তাঁর এই আচরণ ক্য়ামিলির পরিবারের সকলেরই ভীষণ পছন্দ হয় ৷ এদিকে, ক্যামিলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান দক্ষিণ ভারতীয় এই যুবক ৷
ক্য়ামিলি তাঁর বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান ৷ তিনবছর আগেই অনন্তরাজুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, করোনার কারণে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন দুই পরিবারের সদস্যরা ৷ ক্য়ামিলির পরিবার ঠিক করেছিল, এই বিয়ের আসর বসবে বেলজিয়ামে ৷ থাকবে এলাহি আয়োজন ৷ কিন্তু, বেঁকে বসেন অনন্তরাজুর পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরা বলেন, বিয়ে করতে হবে হিন্দু রীতিনীতি মেনেই ৷ এবং তা হাম্পিতেই আয়োজন করতে হবে ৷ বর পক্ষের দাবি মেনে নেয় কনে পক্ষ ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু'জনের বাগদান হয় ৷ পরস্পরের সঙ্গে আংটিবদল করেন ক্যামিলি এবং অনন্তরাজু ৷ আর শুক্রবার বসে রাজকীয় বিয়ের আসর ৷