মেখলিগঞ্জ, 8 মার্চ: সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশের 4 নাগরিক ৷ গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের অধীনে 6 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রাজ্যের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি সীমান্ত থেকে 4 জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয় ৷ এদের মধ্যে আছে বাংলাদেশের দৌলতপুরের মহম্মদ রুলাস আহমেদ, সুনামগঞ্জের মহম্মদ আনোয়ার খান, কুষ্টিয়ায় মহম্মদ মেহেদি হাসান মুন্না এবং মহম্মদ সেলিম (4 Bangladeshi detained while crossing Mekliganj Cooch behar border in West Bengal) ৷
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাংলাদেশি নাগরিকেরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল ৷ এবার ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে ৷ সেখান থেকে তাদের পাকড়াও করা হয় ৷ শুক্রবার, ওই চারজন বাংলাদেশিকে মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স ৷ কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ চারজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করেছে ৷ তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ওই চার জন বাংলাদেশি টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে ভারত হয়ে অবৈধভাবে নেপালে গিয়েছিল ৷ ফেরার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢোকার পথে সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের হাতেনাতে ধরে ৷
বিএসএফ-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ জলপাইগুড়ির অধীনে কাজ করা বিভিন্ন ইউনিট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ করছে ৷ এর ফলেই সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী দিনে দিনে সাফল্য পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি ৷ এদিন ধৃতদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় ৷ পাশাপাশি হোলি উৎসবকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৷ এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ নদিয়ার হাঁসখালিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে ৷
আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে বিএসএফ, পালটা গুলিতে নিহত অনুপ্রবেশকারী