বালাসোর, 20 জুন: সিবিআইয়ের তরফে প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন বলে খবর রটে। সোমবার সিবিআই আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রের বাড়িতে গেলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি বলে খবর। পরে তাঁর ভাড়া বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয় সিবিআই'য়ের তরফে ৷ রেলসূত্রে খবর, দুর্ঘটনার দিন যাবতীয় দায়িত্ব ওই ইঞ্জিনিয়রের উপরেই দেওয়া ছিল। ফলত দুর্ঘটনার সময় সোরো সেকশনের অধীনে কর্মরত রেলওয়ে সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই ৷ তাই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বেপাত্তার যে খবর রটেছিল তা একদমই ঠিক নয় বলে জানালেন সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের সিপিআরও ৷
মঙ্গলবার সেই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আমির খানের উপস্থিতিতেই সিবিআইয়ের 6 সদস্যের দল তাঁর ভাড়া বাড়ি খুলে তদন্ত শুরু করে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এবং তাঁর পরিবার 2 জুন অর্থাৎ ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে ভাড়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। তবে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) আদিত্য কুমার চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান একথা সঠিক নয়। উল্লেখ্য, সিবিআই এর আগে দুর্ঘটনার প্রমাণ সুরক্ষিত করতে বাহানগা বাজার রেলস্টেশনের রিলে রুম, প্যানেল এবং অন্যান্য সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তৎপর ভারতীয় সেনা, উদ্ধার উত্তর সিকিমে ধসে আটকে থাকা আরও 300 পর্যটক
তারা বাহানাগা বাজার স্টেশনে নিযুক্ত স্টাফ-সহ বেশ কয়েকজন রেলওয়ের আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁদের মোবাইল ফোনের পাশাপাশি রেকর্ড রুম থেকে দুর্ঘটনার আগে এবং পরে লগ বুক এবং ডিজিটাল লগগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। প্রসঙ্গত, 2 জুন, চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস বালাসোরে একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মারে, যার ফলে তার অধিকাংশ বগি লাইনচ্যুত হয়। অন্যদিকে যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, যা হাওড়ায় আসছিল; সেটি করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগির সঙ্গে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনায় 292 জন প্রাণ হারিয়েছেন এখনও পর্যন্ত এবং 1 হাজার 100 জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উদ্ধার, ত্রাণ এবং পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টায় সহায়তাকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাতে এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ফের বাহানগা পৌঁছেছেন ৷