ETV Bharat / bharat

সানস্ট্রোকের আয়ুর্বেদিক উপশম - Sun Stroke

অত্যধিক গরম জায়গায় বেশিক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ব্যায়াম করা, মদ্যপান, রোদ্দুরে ঘোরাঘুরি করার জন্য মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ে । ঘাম না হওয়া সান স্ট্রোকের অন্যতম কারণ ।

সানস্ট্রোকের আয়ুর্বেদিক উপশম
সানস্ট্রোকের আয়ুর্বেদিক উপশম
author img

By

Published : Apr 9, 2021, 2:44 PM IST

ঋতুবদল প্রকৃতিতে নতুন জীবনদান করে । মানুষের জীবন সেইসব পরম্পরা ও উৎসবের আবর্তে ঘুরপাক খেতে থাকে, যা উঠে এসেছে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও ফসলদায়ী বৃষ্টির মতো আবহাওয়ায় বদল থেকে । পশ্চিমী দেশগুলিতে চারটি ঋতু চিহ্নিত করা হলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে ঋতু ছয়টি । এই ছয়টির মধ্যে তিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । গ্রীষ্ম একটি বিশেষ ঋতু যা নিরক্ষীয় অঞ্চলকে পরিশুদ্ধ করে, কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের ক্লান্তও করে । আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ পি ভি রঙ্গনায়কুলু জানালেন যে কীভাবে আমরা গ্রীষ্মে সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারি ।

আয়ুর্বেদ মনে করে, গ্রীষ্মের শরীর খারাপের পিছনে রয়েছে পিত্ত । গ্রীষ্মের উত্তাপে পিত্তের আধিক্য হয়, তাই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত । কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রকৃতি সঙ্কুচিত হয়ে আসার ফলে এইসব সতর্কতার অনেকগুলোই এখন প্রযোজ্য নয় । তাই আমরা ঘরেই এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারি । আয়ুর্বেদ বলে, ঝরনার পাশে আরও বেশি সময় কাটাতে । আমরা ঘরেই ক্রস ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারি । ঘরের ভেতরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে রাখতে পারি ।

হিট স্ট্রোক আসলে হাইপোথার্মিয়া ছাড়া কিছুই নয়, যেখানে শরীরের তাপমাত্রা সহনশীলতার উপরে চলে যায় । একে আয়ুর্বেদে উষ্ণতাপ বলা হয় । যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপর চলে যায়, তখন মস্তিষ্ক তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বজায় রাখতে পারে না । মানুষের শরীর ৯৮-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটে চলার জন্য তৈরি হয়েছে । শরীরের উষ্ণতাবৃদ্ধি আমাদের স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়াপ্রক্রিয়ার জন্য বিপজ্জনক । কয়েকজন মানুষ, বিশেষ করে প্রবীণরা এর ঝুঁকির মধ্যে বেশি থাকেন ।

অত্যধিক গরম জায়গায় বেশিক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ব্যায়াম করা, মদ্যপান, রোদ্দুরে ঘোরাঘুরি করার জন্য মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ে । ঘাম না হওয়া সান স্ট্রোকের অন্যতম কারণ । এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা যায় ।

  • ঘাম না হওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
  • ডেলিরিয়াম, অস্বস্তি, সিজার
  • নসিয়া ও বমি
  • লাল ত্বক
  • শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যাওয়া
  • মাথার যন্ত্রণা
  • হৃদস্পম্দন বেড়ে যাওয়া
  • লো ব্লাড প্রেসার
  • সংজ্ঞা হারানো

তাই আয়ুর্বেদের পরামর্শ দিচ্ছে আমলকি, গুলঞ্চ, উশীর, চন্দন, নারকেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে, যাতে শরীরের ওপর তাপের প্রভাব কমে । সাধারণভাবে যা যা করা উচিত:

  • অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না
  • কফি, অ্যালকোহল, এরিয়েটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন
  • শীতল জায়গায় বিশ্রাম নিন
  • বার বার জল খান
  • ভিজে কাপড়ে গা মুছুন
  • বেলের সরবত খান
  • আমলকির রস খান
  • ডাবের জল খেতে পারেন
  • ঘোলও খাওয়া যেতে পারে
  • মাথায় নারকেল তেল লাগান
  • তরমুজের মতো ফল খান, যাতে জলের পরিমাণ বেশি
  • নোনতা, টক এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন
  • মিষ্টি এবং তেতো খাবার খান
  • খাবার কম খান, জল বেশি খেয়ে হাইড্রেটেড থাকুন
  • ফুল ও সুগন্ধ উপভোগ করুন

যখন প্রবল গরম সত্ত্বেও রোগীর ঘাম হয় না, তখন তাদের ঘরের মধ্যেই রাখতে হবে এবং যেন যথাযথ ভেন্টিলেশন থাকে । নিম্নলিখিত ওষুধগুলো শরীর শীতল রাখে:

  • চন্দনাদি বটি (দুটি ট্যাবলেট দিনে দুবার)
  • মৃতসঞ্জীবনী সুরা 25 মিলিলিটার করে দিনে দুবার।

সর্বাধিক তাপমাত্রা দুপুর দুটোয় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভোর পাঁচটায় রেকর্ড করা হয় । তাই সকাল 11টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত রোদ্দুরে না বেরোনোই ভাল । যাঁদের বেরোতে হবে, তাঁরা সাদা টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন । শ্রমজীবী মানুষেরা, যাঁরা দৈনিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরাই গরমে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন । তাঁদের পক্ষে নুন-চিনির জল খেলে উপকার হবে ।

ঋতুবদল প্রকৃতিতে নতুন জীবনদান করে । মানুষের জীবন সেইসব পরম্পরা ও উৎসবের আবর্তে ঘুরপাক খেতে থাকে, যা উঠে এসেছে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও ফসলদায়ী বৃষ্টির মতো আবহাওয়ায় বদল থেকে । পশ্চিমী দেশগুলিতে চারটি ঋতু চিহ্নিত করা হলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে ঋতু ছয়টি । এই ছয়টির মধ্যে তিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । গ্রীষ্ম একটি বিশেষ ঋতু যা নিরক্ষীয় অঞ্চলকে পরিশুদ্ধ করে, কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের ক্লান্তও করে । আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ পি ভি রঙ্গনায়কুলু জানালেন যে কীভাবে আমরা গ্রীষ্মে সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারি ।

আয়ুর্বেদ মনে করে, গ্রীষ্মের শরীর খারাপের পিছনে রয়েছে পিত্ত । গ্রীষ্মের উত্তাপে পিত্তের আধিক্য হয়, তাই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত । কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রকৃতি সঙ্কুচিত হয়ে আসার ফলে এইসব সতর্কতার অনেকগুলোই এখন প্রযোজ্য নয় । তাই আমরা ঘরেই এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারি । আয়ুর্বেদ বলে, ঝরনার পাশে আরও বেশি সময় কাটাতে । আমরা ঘরেই ক্রস ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারি । ঘরের ভেতরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে রাখতে পারি ।

হিট স্ট্রোক আসলে হাইপোথার্মিয়া ছাড়া কিছুই নয়, যেখানে শরীরের তাপমাত্রা সহনশীলতার উপরে চলে যায় । একে আয়ুর্বেদে উষ্ণতাপ বলা হয় । যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপর চলে যায়, তখন মস্তিষ্ক তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বজায় রাখতে পারে না । মানুষের শরীর ৯৮-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটে চলার জন্য তৈরি হয়েছে । শরীরের উষ্ণতাবৃদ্ধি আমাদের স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়াপ্রক্রিয়ার জন্য বিপজ্জনক । কয়েকজন মানুষ, বিশেষ করে প্রবীণরা এর ঝুঁকির মধ্যে বেশি থাকেন ।

অত্যধিক গরম জায়গায় বেশিক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ব্যায়াম করা, মদ্যপান, রোদ্দুরে ঘোরাঘুরি করার জন্য মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ে । ঘাম না হওয়া সান স্ট্রোকের অন্যতম কারণ । এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা যায় ।

  • ঘাম না হওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
  • ডেলিরিয়াম, অস্বস্তি, সিজার
  • নসিয়া ও বমি
  • লাল ত্বক
  • শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যাওয়া
  • মাথার যন্ত্রণা
  • হৃদস্পম্দন বেড়ে যাওয়া
  • লো ব্লাড প্রেসার
  • সংজ্ঞা হারানো

তাই আয়ুর্বেদের পরামর্শ দিচ্ছে আমলকি, গুলঞ্চ, উশীর, চন্দন, নারকেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে, যাতে শরীরের ওপর তাপের প্রভাব কমে । সাধারণভাবে যা যা করা উচিত:

  • অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না
  • কফি, অ্যালকোহল, এরিয়েটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন
  • শীতল জায়গায় বিশ্রাম নিন
  • বার বার জল খান
  • ভিজে কাপড়ে গা মুছুন
  • বেলের সরবত খান
  • আমলকির রস খান
  • ডাবের জল খেতে পারেন
  • ঘোলও খাওয়া যেতে পারে
  • মাথায় নারকেল তেল লাগান
  • তরমুজের মতো ফল খান, যাতে জলের পরিমাণ বেশি
  • নোনতা, টক এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন
  • মিষ্টি এবং তেতো খাবার খান
  • খাবার কম খান, জল বেশি খেয়ে হাইড্রেটেড থাকুন
  • ফুল ও সুগন্ধ উপভোগ করুন

যখন প্রবল গরম সত্ত্বেও রোগীর ঘাম হয় না, তখন তাদের ঘরের মধ্যেই রাখতে হবে এবং যেন যথাযথ ভেন্টিলেশন থাকে । নিম্নলিখিত ওষুধগুলো শরীর শীতল রাখে:

  • চন্দনাদি বটি (দুটি ট্যাবলেট দিনে দুবার)
  • মৃতসঞ্জীবনী সুরা 25 মিলিলিটার করে দিনে দুবার।

সর্বাধিক তাপমাত্রা দুপুর দুটোয় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভোর পাঁচটায় রেকর্ড করা হয় । তাই সকাল 11টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত রোদ্দুরে না বেরোনোই ভাল । যাঁদের বেরোতে হবে, তাঁরা সাদা টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন । শ্রমজীবী মানুষেরা, যাঁরা দৈনিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরাই গরমে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন । তাঁদের পক্ষে নুন-চিনির জল খেলে উপকার হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.