সমস্তিপুর (বিহার), 28 নভেম্বর: মাত্র 15 ইঞ্চি জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ (Land Dispute) ! আর তার জেরেই দেওরের মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার (Aunt Sets Niece on Fire) অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে ! ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরে (Samastipur) ৷ ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছে 14 বছরের ওই কিশোরী ৷ আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে ৷
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সমস্তিপুর জেলার রোসদা থানা (Rosda Police Station) এলাকার উদয়পুর (Udaipur) গ্রামে ৷ জমির ওই 15 ইঞ্চি অংশ নিয়ে দাদার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর রামের ৷ বিবাদ মেটাতে আলোচনায় বসেছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা ৷ সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই পরিবারের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ সেই আলোচনা শেষ হলে সিদ্ধেশ্বর নিজের কাজে বেরিয়ে যান ৷ সেই সময় বাড়িতে একা ছিল তাঁর 14 বছরের মেয়ে নেহা কুমারি ৷
আরও পড়ুন: ইসলামের রীতি মেনে বিয়ে না করলে জরিমানার ঘোষণা ধানবাদে
অভিযোগ, এই সময়েই নেহার উপর চড়াও হন তাঁর জেঠিমা ৷ মেয়েটির গায়ে অতর্কিতে কেরোসিন ঢেলে দেন তিনি ৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই হতভম্ব হয়ে যায় নেহা ৷ কিন্তু, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন তার জেঠিমা ৷ তাতে নেহার শরীরের অধিকাংশ অংশই পুড়ে যায় ৷ এই ঘটনার পর নেহাকে স্থানীয় রোসদা অনুমণ্ডলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, নেহার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সদর হাসাপাতালে 'রেফার' করে দেন চিকিৎসকরা ৷ কিন্তু, সেখানেও নেহার চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছিল না ৷ তাই শেষমেশ তাকে দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Darbhanga Medical College Hospital) নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আপাতত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নেহার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ৷ তার শরীরের 80 থেকে 90 শতাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷
নেহার বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত 10 বছর ধরে এই জমি নিয়ে দাদার সঙ্গে বিবাদ চলছে তাঁর ৷ সিদ্ধেশ্বর রামের দাবি, জমির ভাগবাঁটোয়ারা আগেই হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু, 15 ইঞ্চির একটি ফাঁকা অংশ নিয়ে বিবাদ চলছে ৷ তবে, তার খেসারত যে এভাবে দিতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি নেহার বাবা ৷ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি ৷