ETV Bharat / bharat

Paragliding in Kashmir: উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ ! কাশ্মীরের প্যারাগ্লাইডিং গন্তব্য আস্তানমার্গে পর্যটকদের ভিড়

শ্রীনগরের আস্তানমার্গ জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটকদের জন্য পছন্দের প্যারাগ্লাইডিং গন্তব্য । সেখানে প্যারাগ্লাইডিং আস্তানমার্গ সামিট থেকে যাত্রা শুরু করে এবং শ্রীনগরের উপকণ্ঠে চাঁদপাড়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গিয়ে শেষ হয় ।

ো
author img

By

Published : May 16, 2023, 8:04 PM IST

শ্রীনগর, 16 মে: এমন যদি হত, আমি পাখির মতো...উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ ! ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে কে না চায় ! আর সেই ডানা যদি একবার মেলে হাতের মুঠোয়, তাহলে কি তা ছাড়া যায় ? সে জন্যই তো ভূস্বর্গ কাশ্মীরে যে পর্যটকরাই যান, তাঁদের সবারই নজর থাকে প্যারাগ্লাইডিং লোকেশন, আস্তানমার্গের দিকে । এ বারও সেখানে ভিড় জমেছে ভালোই ৷ 2014 সাল থেকে ব্যক্তিগত প্যারাগ্লাইডিং কোম্পানি কারাকোরাম এক্সপ্লোরার্সের সহযোগিতায় জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন বিভাগ শ্রীনগরে দুঃসাহসিক বাণিজ্যিক প্যারাগ্লাইডিং-এর পরিষেবা দিয়ে চলেছে ৷

আস্তানমার্গের চূড়া থেকে যাত্রা শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং ৷ আকাশজুড়ে ওড়াউড়ির পর শ্রীনগরের উপকণ্ঠে চাঁদপোরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ হয় সফর । এই সফর পর্যটকদের 2000-ফিট উচ্চতা থেকে প্রকৃতিকে দর্শন ও দারুণ অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয় ৷ হারওয়ান থেকে আস্তানমার্গ পর্যন্ত 40 মিনিটের ট্রিপ, যা 2255 মিটার (7400 ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত ৷ পর্যটকরা তাঁদের রাইড বুক করে হারওয়ান গার্ডেন থেকে উড়ে যান আস্তানমার্গে ।

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে পেশাদারদের কাছ থেকে একটি ব্রিফিং পাওয়ার পরে গ্লাইডারগুলি 12 থেকে 15 মিনিটের জন্য উড়ে যায় । 1615 মিটার (5330 ফিট) উচ্চতায়, শ্রীনগরের চাঁদপোরা অবতরণ অঞ্চল হিসাবে কাজ করে । স্থানীয় এবং বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরা দুঃসাহসিক রাইড উপভোগ করে চলেছেন ।

রাজস্থানের জয়পুরের পর্যটক পূজা বলেন, "আমি আস্তানমার্গ থেকে পাখির মতো ওড়ার স্বপ্ন পূরণ করেছি ৷ ডাল লেক, মহাদেব পিক, দাচিগাম ন্যাশনাল পার্ক এবং মুঘল গার্ডেনকে দেখলাম আকাশ থেকে ৷ এই সফর আমায় মুগ্ধ করেছে । প্রত্যেকেরই জীবনে একবার এমন দুঃসাহসিক কাজ করা উচিত ৷" পুরো ট্রিপ জুড়ে পাইলট (প্রশিক্ষক) খুব সহায়ক এবং সহযোগিতামূলক ছিলেন বলে জানালেন তিনি । তিনি প্রতিটি সেকেন্ড উপভোগ করেছেন বলে জানান পূজা ।

শ্রীনগরের রাজবাগ এলাকার বাসিন্দা আকিল বলেন যে, তিনি কিছুদিন ধরে এই রোমাঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এবং অবশেষে তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে । তাঁর কথায়, "গত বছর মরসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুযোগটি চলে গিয়েছিল । এ বছরও আমার একই ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শনিবারের ভয়াবহ আবহাওয়া আমাকে তা করতে বাধা দেয় । যাইহোক, আজ আমি সফল হয়েছি ৷" প্যারাগ্লাইডিং ঝুঁকিমুক্ত হলেও এর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দারুণ উপভোগ্য বলে জানালেন আকিল ৷

যাঁরা প্যারাগ্লাইডিং-এ অংশ নিচ্ছেন তাঁদের সাহসের প্রশংসা করেন পাইলটরা ৷ 300 ঘন্টারও বেশি সময় ওড়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলট দীনেশ জামেওয়াল বলেন, নীল পরিষ্কার আকাশ থেকে জাবারওয়ান পর্বতমালার চমত্কার দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয় ৷ 2013 সাল থেকে তিনি প্যারাগ্লাইডিং শুরু করেছেন বলে জানালেন ৷ তাঁর মতে, ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্যারাগ্লাইডিং অবস্থান কাশ্মীর ।

আরও পড়ুন: বসন্তের আগমন জানান দেয় বাদাম ফুল, ঘুরে আসুন কাশ্মীরের এই বাগান

শ্রীনগর, 16 মে: এমন যদি হত, আমি পাখির মতো...উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ ! ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে কে না চায় ! আর সেই ডানা যদি একবার মেলে হাতের মুঠোয়, তাহলে কি তা ছাড়া যায় ? সে জন্যই তো ভূস্বর্গ কাশ্মীরে যে পর্যটকরাই যান, তাঁদের সবারই নজর থাকে প্যারাগ্লাইডিং লোকেশন, আস্তানমার্গের দিকে । এ বারও সেখানে ভিড় জমেছে ভালোই ৷ 2014 সাল থেকে ব্যক্তিগত প্যারাগ্লাইডিং কোম্পানি কারাকোরাম এক্সপ্লোরার্সের সহযোগিতায় জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন বিভাগ শ্রীনগরে দুঃসাহসিক বাণিজ্যিক প্যারাগ্লাইডিং-এর পরিষেবা দিয়ে চলেছে ৷

আস্তানমার্গের চূড়া থেকে যাত্রা শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং ৷ আকাশজুড়ে ওড়াউড়ির পর শ্রীনগরের উপকণ্ঠে চাঁদপোরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ হয় সফর । এই সফর পর্যটকদের 2000-ফিট উচ্চতা থেকে প্রকৃতিকে দর্শন ও দারুণ অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয় ৷ হারওয়ান থেকে আস্তানমার্গ পর্যন্ত 40 মিনিটের ট্রিপ, যা 2255 মিটার (7400 ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত ৷ পর্যটকরা তাঁদের রাইড বুক করে হারওয়ান গার্ডেন থেকে উড়ে যান আস্তানমার্গে ।

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে পেশাদারদের কাছ থেকে একটি ব্রিফিং পাওয়ার পরে গ্লাইডারগুলি 12 থেকে 15 মিনিটের জন্য উড়ে যায় । 1615 মিটার (5330 ফিট) উচ্চতায়, শ্রীনগরের চাঁদপোরা অবতরণ অঞ্চল হিসাবে কাজ করে । স্থানীয় এবং বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরা দুঃসাহসিক রাইড উপভোগ করে চলেছেন ।

রাজস্থানের জয়পুরের পর্যটক পূজা বলেন, "আমি আস্তানমার্গ থেকে পাখির মতো ওড়ার স্বপ্ন পূরণ করেছি ৷ ডাল লেক, মহাদেব পিক, দাচিগাম ন্যাশনাল পার্ক এবং মুঘল গার্ডেনকে দেখলাম আকাশ থেকে ৷ এই সফর আমায় মুগ্ধ করেছে । প্রত্যেকেরই জীবনে একবার এমন দুঃসাহসিক কাজ করা উচিত ৷" পুরো ট্রিপ জুড়ে পাইলট (প্রশিক্ষক) খুব সহায়ক এবং সহযোগিতামূলক ছিলেন বলে জানালেন তিনি । তিনি প্রতিটি সেকেন্ড উপভোগ করেছেন বলে জানান পূজা ।

শ্রীনগরের রাজবাগ এলাকার বাসিন্দা আকিল বলেন যে, তিনি কিছুদিন ধরে এই রোমাঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এবং অবশেষে তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে । তাঁর কথায়, "গত বছর মরসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুযোগটি চলে গিয়েছিল । এ বছরও আমার একই ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শনিবারের ভয়াবহ আবহাওয়া আমাকে তা করতে বাধা দেয় । যাইহোক, আজ আমি সফল হয়েছি ৷" প্যারাগ্লাইডিং ঝুঁকিমুক্ত হলেও এর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দারুণ উপভোগ্য বলে জানালেন আকিল ৷

যাঁরা প্যারাগ্লাইডিং-এ অংশ নিচ্ছেন তাঁদের সাহসের প্রশংসা করেন পাইলটরা ৷ 300 ঘন্টারও বেশি সময় ওড়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলট দীনেশ জামেওয়াল বলেন, নীল পরিষ্কার আকাশ থেকে জাবারওয়ান পর্বতমালার চমত্কার দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয় ৷ 2013 সাল থেকে তিনি প্যারাগ্লাইডিং শুরু করেছেন বলে জানালেন ৷ তাঁর মতে, ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্যারাগ্লাইডিং অবস্থান কাশ্মীর ।

আরও পড়ুন: বসন্তের আগমন জানান দেয় বাদাম ফুল, ঘুরে আসুন কাশ্মীরের এই বাগান

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.