নয়াদিল্লি, 10 মার্চ : ভারতের নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলে ৷ ফলে ইলেক্ট্ররাল ভোটিং মেশিন অর্থাৎ, ইভিএম কারচুপির প্রশ্ন ওঠে না বলে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (No Question of EVM Tampering Says CEC Sushil Chandra) ৷ ইভিএম নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, সাত দফা নির্বাচনের পর আজ উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের 5 রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ (Assembly Election Result 2022) ৷
প্রসঙ্গত, নিয়ম মেনে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে ইভিএমের অবস্থান নিয়ে তথ্য না জানানোর জন্য বারাণসীর অতিরিক্ত জেলাশাসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুশীল চন্দ্র ৷ অভিযোগ, প্রশিক্ষণের জন্য যে ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাননি অতিরিক্ত জেলাশাসক ৷ সেই কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ৷
প্রসঙ্গত, বারাণসীতে ট্রেনিংয়ের জন্য ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ কিন্তু, সমাজবাদী পার্টির তরফে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া ইভিএম সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কারচুপির জন্য ৷ কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, প্রতিটি ইভিএমের একটা নির্দিষ্ট নম্বর থাকে ৷ যে ইভিএমগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেগুলির নম্বর ভোটে ব্যবহার হওয়া ইভিএমের তালিকার সঙ্গে মিলছে না ৷ কারণ, সেগুলি অন্য ইভিএম ৷ আর ওই ইভিএমগুলি ট্রেনিংয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ পাশাপাশি কমিশনের তরফে সপাকে ওই ইভিএমগুলির নম্বর মিলিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল ৷ কারণ, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্ব ছিল, এ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে তথ্য দেওয়া ৷ কিন্তু, তিনি তা করেননি বলে অভিযোগ ৷ সেই কারণে বারাণসীর অতিরিক্ত জেলাশাসককে সাসসপেন্ড করা হয়েছে ৷ সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া ইভিএম এর কারচুপির কোনও প্রশ্নই ওঠে না ৷
সুশীল চন্দ্র আরও বলেন, ‘‘2004 সাল থেকে ইভিএম ব্যবহার হয়ে আসছে ৷ আর 2019 লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে ভোটার ভ্যারিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল অর্থাৎ, ভিভিপ্যাট ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিটি পোলিং বুথে ৷ আর ভোটের পর ভিভিপ্যাট-সহ ইভিএম সংশ্লিষ্ট বুথে রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের সামনে সিল করা হয় এবং তাঁদের স্বাক্ষর নেওয়া হয় ৷ এর পর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে ইভিএম স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আর স্ট্রং রুমের বাইরে 24 ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হয় ৷ পাশাপাশি, বাইরে কড়া নিরাপত্তা বলয় থাকে ৷ যাতে কেউ স্ট্রং রুমে প্রবেশ করতে না পারে ৷’’