জোড়হাট, 23 নভেম্বর: অসমে নারীপাচারের ছক ভেস্তে দিল পুলিশ ৷ বুধবার রাতে জোরহাটের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাতজন নাবালিকাকে ৷ এক মাংসবিক্রেতার ফাঁদে পড়ে রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিয়েছিল তারা ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, মানব পাচারের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে অসমে । এক কথায় অসম ধীরে ধীরে মানব পাচারের 'হাব' হয়ে উঠেছে । দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে, কর্মসংস্থানের প্রলোভন দিয়ে বা কিশোর-কিশোরীদের অপহরণ করে, হয় রাজ্যের কিশোরী এবং যুবতীদের অন্য রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, অথবা তাঁদেরকে অপরাধমূলক বা কুরুচিকর কোনও কাজে জোর করে লিপ্ত করা হচ্ছে ৷ এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে ।
এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বুধবার ৷ বুধবার রাতের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় সাতজন নাবালিকাকে ৷ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জোরহাটের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার রাতে জোরহাটের জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালায় ৷ তখনই গুয়াহাটির দিকে যাওয়া 'এআর 01 এম7945' নম্বরের দীপ ট্রাভেলসে একটি রাতের বাস থেকে সাতজন কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ । অরুণাচল প্রদেশের নামসাই থেকে আসছিল সেই বাস ৷
জানা গিয়েছে, পিঙ্কি কর্মকার নামে এক মহিলা ওই কিশোরীদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল । রূপরেখা শর্মা নামে আরেকজন মহিলা ওই কিশোরীদের রাতের বাসের টিকিট বুক করেছিলেন বলে জানিয়েছে কিশোরীরা । তাদের বয়ানের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আপাতত পিঙ্কি কর্মকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এর পেছনে মানব পাচার চক্রের হাত রয়েছে । আরও জানা যায়, ওই কিশোরীদের পরিবারকে প্রলুব্ধ করে কিশোরীদের রাজ্যের বাইরে পাঠানোর মতলব ছিল পাচারকারীদের । তবে পুলিশ এ ব্যাপারে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি ৷
আরও পড়ুন: