প্রয়াগরাজ, 19 এপ্রিল: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত মাফিয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ হত্যার ঘটনায় কার্যত ঢোক গিলল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৷ পুলিশি গাফিলতি যে হয়েছে, অবশেষে তা মেনে নিল যোগী সরকার ৷ গ্যাংস্টার খুনের ঘটনার পাঁচদিন পর কর্তব্যে অবহেলার জন্য বুধবার পাঁচ পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করেছে রাজ্য প্রশাসন ৷
রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, শাহগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অশ্বনী কুমার সিং-সহ একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও তিনজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পরই একটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করা হয় ৷ সিটের তরফেই প্রাথমিক রিপোর্টে এই পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ আনা হয় ৷ এরপরই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য রাজ্যের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) সতীশ চন্দ্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে প্রয়াগরাজের শাহগঞ্জ থানা এলাকার একটি হাসপাতালে পুলিশ মেডিকেল চেক-আপের জন্য আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ই আতিক ও আশরফের উপর চড়াও হয় তিন আততায়ী ৷ তিন আততায়ীর মুহুর্মুহু ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আতিক ও আশরাফের ৷ এরপরই সিট গটন করে তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ ৷
অন্যদিকে, এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে আদালতে পেশ করা হয় তিন অভিযুক্তকে। আতিক ও তাঁর ভাইকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তিনজনকেই এদিন বিচারক চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ পুলিশ অবশ্য, লাভলেশ তিওয়ারী, মোহিত এবং অরুণ কুমার মৌর্যের সাতদিনের হেফাজত চায় ৷ সরকারি আইনজীবী গুলাব চন্দ্র অগ্রহারি জানান, আদালত অভিযুক্তদের প্রত্যেককেই চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 (খুন), 307 (খুনের চেষ্টা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ পাশাপাশি তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাহগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে বন্দে ভারত, এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু এক ব্যক্তি ও নীলগাইয়ের