ধোলপুর (রাজস্থান), 7 মে: এবার সরাসরি অমিত শাহ এবং শচিন পাইলট শিবিরকে একযোগে আক্রমণ শানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক অশোক গেহলতের ৷ রাজস্থান সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্রের পিছনে রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট শিবিরের বিধায়কদের পাশাপাশি হাত মিলিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ৷ সেই সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তিনি মানেসরে যাওয়া বিধায়কদের বিজেপির কাছ থেকে নেওয়া পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর সংযোজন, যদি বিধায়করা ইতিমধ্যে কিছু পরিমাণ টাকা খরচ করে থাকেন, তবে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত।
ধোলপুরের রাজখেদা বিধানসভা কেন্দ্রের মারেনায় এক জনসভায় বক্তৃতা করে, গেহলত অভিযোগ করেন যে, অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং গজেন্দ্র সিং-সহ বিজেপি নেতারা তাঁর সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ৷ আর তার জন্য রাজ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছে বিজেপি ৷ গেহলত দাবি করেন,"দলের বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের সময় 2020 সালে অমিত শাহ, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান আমার সরকারের পতনের জন্য একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাঁরা সেসময় রাজস্থানে দেদার টাকা বিতরণ করলেও এখন আর সেই টাকা তাঁরা ফেরত নিচ্ছে না ৷" তিনি আরও বলেন, "আমি অবাক হয়েছি, কেন তাঁরা তাঁদের টাকা ফেরতের দাবি করছে না ৷" তাঁর সংযোজন, "আমি এমনকী আমার বিধায়কদের বলেছি যে, তাঁরা যে টাকা নিয়েছে, 10 কোটি বা 20 কোটি টাকা, যদি তার মধ্যে কিছু খরচ করে থাকেন তবে আমি সেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব ৷" ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনে তিনি অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি থেকে টাকা নেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গেহলতের অভিযোগ, বিধায়করা টাকা ফেরত না দিলে তাঁরা সবসময় অমিত শাহের চাপেই থাকবেন।
গেহলত অভিযোগ করেন, "তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি ভয় দেখান ৷ মহারাষ্ট্রে তিনি শিবসেনাকে এভাবেই ভাগ করেছেন ৷" গেহলত দাবি করে জানান, রাজ্যে ভৈরব সিং শেখাওয়াতের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতনকে তিনি সমর্থন করেননি ৷ কারণ অন্যায়ভাবে সেই সরকার ফেলা হয়েছিল ৷ ঠিক একইভাবে, বসুন্ধরা রাজে এবং মেঘওয়াল 2020 সালে কংগ্রেস সরকারের পতনকে সমর্থন করেননি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সে সময় বিজেপি বিধায়ক শোভরানী কুশওয়াও নিজের দলকে সমর্থন করেননি। গেহলট এবং বসুন্ধরা রাজেকে অবশ্য নিজের দলের বিরুদ্ধাচারণ করে একে অপরের প্রতি 'নরম' মনোভাব রাখার জন্য দোষারপ করা হয় ৷ যদিও দুই নেতাই এ ধরনের কোনও বোঝাপড়ার বিষয়টি একেবারেই অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি বসুন্ধরা রাজে গেহলতের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিলেন, দুধ ও লেবুর রস কখনও একসঙ্গে মেশে না।
আরও পড়ুন: নিট পরীক্ষার জন্য রোড-শোয়ে কাটছাঁট প্রধানমন্ত্রীর