বরেলি (উত্তরপ্রদেশ), 17 মার্চ: সহকর্মীর স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (Army Jawan Arrests for Allegedly Killing Wife of Colleague) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির ক্যান্টনেমেন্ট এলাকায় ৷ অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত মহিলার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে ৷ অভিযোগ মহিলাকে আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছিলেন সেনা জওয়ান মনোজ সেনাপতি ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তার বদলা নিতেই নীতিশ পান্ডে মনোজ সেনাপতির স্ত্রী সুদেষ্ণাকে খুন করেছেন ৷ নীতিশ পান্ডেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷
গত 13 মার্চ ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, সুদেষ্ণা নামে এক মহিলাকে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হত্যা করেছেন ৷ সুদেষ্ণা সেনা জওয়ান মনোজ সেনাপতির স্ত্রী ছিলেন ৷ পুলিশ তদন্তে নেমে মনোজ সেনাপতির বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৷ সেখানে ঘটনার দিন সেনা জওয়ান নীতিশ পান্ডেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায় ৷ নীতিশ মৃত সুদেষ্ণার প্রতিবেশী ছিলেন ৷ নীতিশকে সেনাবাহিনীর সাহায্যে আটক করা হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করার পর বৃহস্পতিবার নীতিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
পুলিশ মনোজ সেনাপতিকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ৷ নীতিশ পান্ডের স্ত্রীকে আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, মনোজের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ নীতিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, গত 13 মার্চ মনোজের বাড়িতে যান তিনি ৷ সেখানে মনোজের স্ত্রী সুদেষ্ণা একা ছিলেন ৷ নীতিশ তাঁকে বলেন, ফোন করে মনোজকে বাড়িতে ডাকতে ৷ সেই সঙ্গে মনোজ যাতে তাঁর স্ত্রী'র সমস্ত ছবিও ভিডিয়ো ডিলিট করে দেয় ৷
আরও পড়ুন: আইএসএফে মিছিলে সামিল হওয়া সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ
কিন্তু, নীতিশের থেকে এই কথা শুনে সুদেষ্ণা পালটা তর্কাতর্কি শুরু করেন ৷ কথা কাটাকাটির সময় নীতিশ তাঁর ব্যাগ থেকে একটি ধারাল অস্ত্র বের করে সুদেষ্ণার ঘাড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করতে থাকেন ৷ এরপর সেখানে নিজের হাত ধুয়ে অস্ত্রটি ব্যাগে ঢুকিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ৷ পরে সেটিকে লোপাট করে দেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নীতিশ পান্ডে ৷