অমরাবতী, 5 জুন: ওড়িশার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন 275 জন ৷ শুক্রবার সন্ধ্যার ওই ঘটনার ফলে মৃতদের অনেককে এখনও সনাক্ত করা যায়নি ৷ নিখোঁজও রয়েছেন অনেকে ৷ এই ঘটনার রেশ পৌঁছে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের দুই পরিবারেও ৷ যদিও এদের মধ্যে এক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পেলেও, এখনও নিখোঁজ আরেকজন ৷ কিন্তু নিখোঁজ ওই ব্যক্তি আদৌ দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস বা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ছিলেন কি না, তা নিয়েই বর্তমানে ধন্দে রয়েছে তাঁর পরিবার ৷
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা এপিএসডিএমএ'তে শুক্রবারের বালাসোরের দুর্ঘটনার পর 2টি ফোন আসে ৷ উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করে দুই ব্যক্তির পরিবার ৷ সেই ফোন দুটির সারমর্ম ছিল, দুই ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না, পরিবারের আশঙ্কা তারা হয়তো ওড়িশার বালাসোরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস বা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ছিলেন ৷ একটি ফোন যায় কাডাপা থেকে ও অন্যটিতে যায় খাম্মাম থেকে ৷ তবে অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিআর আম্বেদকর জানিয়েছেন, কাডাপা থেকে যে ব্যক্তি ফোন করেছিলেন তিনি সৈয়দ আবদুল ভাসা নামে এক ব্যক্তির খোঁজ করছিলেন ৷ ওই ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে, সুস্থ অবস্থায় তিনি বাড়িও পৌঁছে গিয়েছেন ৷
তেলেঙ্গানার খাম্মাম থেকে ফোন করে অম্বতি রামুলু নামে বছর 55 এর এক ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার কথা জানায় তাঁর পরিবার ৷ ওই ব্যক্তির এখনও খোঁজ মেলেনি ৷ বিজয়ওড়ায় এক আবাসনে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিআর আম্বেদকর জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মেয়ে বলেছেন, তাঁর বাবা মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না, তিনি ভগবানের দর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে সাধারণ বেডে করমণ্ডলের চালক, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সহকারী চালকের
রামুলুর মেয়ের সন্দেহ তাঁর বাবা কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে থাকতে পারেন ৷ তাই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তার বাবা থাকতে পারেন এই আশঙ্কায় রামুলু মেয়ে ফোন করেন অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটিতে ৷ বর্তমানে ছবি মিলিয়ে চলছে রামুলু নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ ৷ যদিও তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রেনে ছিলেন কি না সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি ৷