অমরাবতী, 12 ডিসেম্বর: গুন্টুরের মুখ্য জেলা আদালতে বড়সড় স্বস্তি মার্গদর্শী চিটফান্ড সংস্থার ৷ সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডি-র মার্গদর্শী চিটফান্ডের 1,050 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনে দাখিল করা তিনটি পিটিশন বাতিল করেছে ৷ যেখান বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ অবৈধ ৷
অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডির এডিজি’র তরফে দায়ের করা এই মামলাগুলি এ দিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ বিচারক মামলাগুলি খারিজ করার সময় স্পষ্ট উল্লেখ করেন, ‘‘সিআইডি প্রমাণ করতে ব্যর্থ যে, মার্গদর্শী কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের ম্যাচিওরিটির টাকা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে ৷’’ গুন্টুর মুখ্য জেলা আদালতের বিচারক ওয়াইভিবিজি পার্থসারথী সরকারের তিনটি নির্দেশ বাতিল করেছে ৷
গত 29 মে জারি করা জিও 104, 15 জুনের জিও 116 এবং 27 জুলাইয়ের জিও 134, এই তিনটি নির্দেশে মার্গদর্শীর মোট 1 হাজার 50 কোটি টাকার সম্পত্তি সিআইডি-কে বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছিল ৷ সিনিয়র আইনজীবী পোসানি ভেঙ্কটেশ্বরলু এবং আইনজীবী পি রাজারাও মার্গদর্শীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন ৷ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে তাঁরা সওয়াল করেন, ‘‘কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রশ্নই ওঠে না ৷ কারণ মার্গদর্শীর কোনও গ্রাহকই ম্যাচিওরিটির টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেননি ৷’’
মার্গদর্শীর আইনজীবীরা সরকার এবং সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গ্রাহকদের সুরক্ষা ছদ্মবেশে সরকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে ৷’’ তাঁরা এমনটাও উল্লেখ করেছেন যে, মার্গদর্শীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম চিটফান্ডের নিয়ম মেনেই করা হয় ৷ আইনজীবী বলেন, ‘‘"চিটফান্ড পরিচালনায় কোনও গাফিলতি থাকলে, ‘চিটফান্ড আইন’ অনুযায়ী সরকারের মোকাবিলা করা উচিত ছিল ৷ পরিবর্তে, সিআইডি আর্থিক সংস্থাপন আইন (এপি আমানতকারী আইন-1999) এর আড়ালে আমানতকারীদের আগাম সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলছে এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছে ৷’’
মার্গদর্শীর আইনজীবীরা আদালতে জানান, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা কখনই মার্গদর্শীর গ্রাহকদের জন্য কল্যাণকর হবে না ৷ বরং তা গ্রাহকদের বিপদ ডেকে আনবে ৷ এমনকি কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধ না করার কোনও অভিযোগ নেই ৷
উল্লেখ্য, চারটি রাজ্যে মার্গদর্শীর ব্যবসায়িক কার্যকলাপ চলে ৷ আর অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডি যে অভিযোগ আনছে, তার পিছনে খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা ৷ মার্গদর্শীর কৌঁসুলি নিজের যুক্তির স্বপক্ষে বলেছেন, ‘‘আদালত তাদের নির্দেশ দিলেও সিআইডি আদালতের সামনে কোনও তথ্য পেশ করেনি ৷ যে সব গ্রাহক তাদের টাকা পাননি, তাদের সংখ্যা, নাম এবং বকেয়া টাকার পরিমাণের বিবরণ জমা দিক আদালতে ৷’’
আরও পড়ুন: