আগরা, 23 অক্টোবর: আগরায় পথকুকুরের কামড়ে মৃত্যু হল একটি 8 বছরের মেয়ের ৷ শনিবার গভীর রাতে বাচ্চাটিকে আগরার এসএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, রাস্তায় তার মৃত্যু হয় ৷ 8 বছরের ওই বাচ্চাটিকে 15 দিন আগে গ্রামের একটি পথকুকুর কামড়ায় ৷ কিন্তু, সেই ঘটনায় আক্রান্ত বাচ্চাটিকে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়নি পরিবার ৷ বদলে গ্রামে একটি গুণিনের কাছে নিয়ে গিয়ে ঝাড়ফুক করানো হয় বলে জানা গিয়েছে, সময় মতো এআরভি ইনজেকশন না দেওয়ায় শনিবার রাতে বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ তখন তাকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা ৷ কিন্তু, কুকুরের কামড়ের ফলে ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ায়, তাকে আগরার এসএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাচ্চাটির মৃত্যু হয় বলে খবর ৷ এই ঘটনায় পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ অভিযোগ, আগরা গ্রামীণের ওই অঞ্চলে আগেও কুকুরে কামড়ে একাধিক বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে ৷
কিন্তু, কেন বারেবারে কুকুরের কামড়ে বাচ্চাদের মৃত্যুর কোল ঢোলে পড়তে হচ্ছে ? অভিযোগ ওই এলাকায় কাউকে কুকুরে কামড়ালে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান না গ্রামবাসীরা ৷ কুসংস্কারের জেরে সবসময় গুণিনের কাছে ঝাড়ফুকের জন্য বাচ্চাদের নিয়ে যায় বাবা-মায়েরা ৷ ফলে, কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় বাচ্চাদের ৷ অভিযোগ একাধিকবার এ নিয়ে প্রশাসনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ বরং গ্রামের একাংশ গুণিন, ঝাড়ফুকের মতো কুসংস্কারের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে লাগাতার ৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে, নীরিহ শিশুদের ৷
আরও পড়ুন: কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ভবঘুরে মহিলার পাশে কাঁকসা থানার আইসি
এ নিয়ে প্রকাশ করেছেন এসএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাটি অনেক আগেই বাড়িতে কুকুর কামড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছিল ৷ কিন্তু, বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গিয়ে এআরভি-র ইনজেকশন দেওয়ার বদলে, বাড়িতে ওঝা ডেকে ঝাড়ফুক করায় ৷ এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ৷’’