বৈশালি, 25 জুন: দুধের কারখানায় গ্যাস লিক করে একজনের মৃত্যু হলে বিহারে ৷ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক ৷ এর মধ্যে 35 জনকে সদর হাসপাতালে ও বাকিদের নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে ৷ শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের হাজিপুরে অবস্থিত রাজ ফ্রেশ ডেয়ারিতে ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় বাসিন্দা নন বলেই মনে করা হচ্ছে, যদিও এই ডেয়ারিতেই কর্মরত ছিলেন ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, কারখানা থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া গ্যাস বাতাসে মিশে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ৷ এর জেরে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ গ্যাসের দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ৷ যদিও প্রশাসনের দাবি, 15 থেকে 20 মিনিটের মধ্যে গ্যাস লিক নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ৷
স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের দল এবং পটনা থেকে কিউআরটির দল কারখানায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৈশালির জেলাশাসক যশপাল মিনা, এসপি রঞ্জন কুমার-সহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৷ এছাড়াও ফায়ার ব্রিগেড এবং এসজিআরএসের দলও লোকজনকে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ গ্যাসের প্রভাব কমাতে গভীর রাত পর্যন্ত দমকলের 3টি ইঞ্জিন ঠায় কর্মরত ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ এই দুর্ঘটনার জেরে রাতভোর হাজিপুর শহরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় ৷
আহত এক যুবতীর কথায়, "আমার বাড়ি পাসোয়ান চকের রাজপুত কলোনিতে ৷ আমরা বারান্দায় খাচ্ছিলাম ৷ শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ৷ হাত পা কাঁপছিল ৷ প্রথমে গন্ধের বিষয়ে টের পাইনি ৷ তবে গন্ধ বাড়তেই শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট বেশি হচ্ছিল ৷ সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল ৷ ওষুধ খেয়েও ভালো হয়নি ৷ তারপর হাসপাতালে আসি ৷ চিকিৎসা চলছে ৷" তবে ঘটনার সময় কারখানায় কতজন ছিলেন তাদের বর্তমান অবস্থা কী তা জানা যায়নি ৷ যদিও সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের ৷
আরও পড়ুন : কিছুটা নিয়ন্ত্রণে অসমের বন্যা পরিস্থিতি, এখনও আটকে 4 লক্ষ মানুষ