ETV Bharat / bharat

Indo China conflict: চিনকে পাল্টা দিতে সীমান্তে সড়ক-সেতু নির্মাণে মনোযোগী বিআরও

গলওয়ান সংঘর্ষ (Galwan Valley) উত্তর সময়ে এখনও উত্তপ্ত ভারত ও চিনের (Indo China conflict) সীমান্ত ৷ বেজিং-এর আগ্রাসী নীতির পাল্টা দিতে সীমান্তে একের পর এক নির্মাণে (BRO constructs roads bridges in Indo China border) মনোযোগী হয়েছে দিল্লি ৷ এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানালেন বিশেষজ্ঞরা ৷ লিখছেন ইটিভি ভারতের সৌরভ শর্মা ৷

amid-indo-china-standoff-at-ladakh border bro-constructs-strategic-roads bridges
চিনকে পাল্টা দিতে সীমান্তে সড়ক-সেতু নির্মাণে মনোযোগী বিআরও
author img

By

Published : Jan 2, 2022, 10:47 AM IST

নয়াদিল্লি, 2 জানুয়ারি : ভারত ও চিনের (Indo China conflict) মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা ক্রমে বাড়ছে প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসী নীতিতে ৷ দেশের ভূখণ্ডে একের পর এক দখলদারির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং ৷ তবে চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয় দিল্লিও ৷ চিনকে (indo china standoff) জবাব দিতে ভারতও পরিকল্পিত ভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলে দাবি করলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসপি সিনহা (Retired Major General SP Sinha)৷ যেখানে যখন প্রয়োজন, সেখানে বাহিনীকে যাতে দ্রুত সরানো যায়, সে জন্য সড়কপথ ও সেতু নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বর্ডার রোডস অর্গ্যানাইজেশন (Border Roads Organisation)৷

28 ডিসেম্বর সীমান্তে তৈরি হওয়া নতুন 24টি সেতু ও তিনটি সড়কপথ দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Minister for Defence Rajnath Singh)৷ জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, অরুণাচলপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশের সীমান্তে এই নির্মাণ করেছে বিআরও ৷ এগুলির মধ্যে পূর্ব লাদাখে তৈরি হওয়া চিসুমলে-ডেমচক রোড বিশ্বের সর্বোচ্চ রাস্তা যেখানে মোটরগাড়ি চলে ৷ 19,000 ফিটেরও বেশি উচ্চতায় এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলে নিয়েছে এই নবনির্মিত রাস্তা ৷

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi on Chinese Occupation : এবার চিনা দখলদারির সত্যতাও মেনে নেওয়া উচিত কেন্দ্রের, দাবি রাহুলের

বর্তমানে চিন যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে আগামী দিনেও দু দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিনহার ৷ এই অবস্থায় চিনা সীমান্তে প্রতিনিয়ত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিআরও-র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি ৷ ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আগের সরকারের আমলে সীমান্তের সড়ক উন্নয়নের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ৷ বর্তমানে চিন সীমান্ত লাগোয়া এই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে আমাদের বাহিনী আরও উৎসাহিত হবে ৷ কোনওরকম প্রতিরোধের প্রয়োজন পড়লে আমরা শত্রুদের কড়া জবাব দিতে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ৷"

গলওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley) নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি ৷ 2020 সালে সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে গিয়েছিল দু দেশের সেনার মধ্যে ৷ এরপর দফায় দফায় সেনা স্তরে ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক হলেও এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্তই রয়ে গিয়েছে ৷ শুধুমাত্র উত্তর প্যাংগং সো লেক (de-escalation in north of Pangong Tso) ও কৈলাস রেঞ্জ থেকে সেনা সরিয়েছে দু পক্ষ ৷ তবে ওই এলাকার বাকি অংশে এখনও উত্তেজনার পরিবেশ রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Tricolour on China Border: চিন-নেপাল সীমান্তে 100 ফুটের তেরঙ্গা উত্তোলন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

এ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার বিকে খান্না (Brig BK Khanna) ইটিভি ভারতকে বলেছেন, "কেন চিনারা প্যাংগং সো-এর উত্তর দিকটা ছেড়ে দিল ? এর কারণ আমাদের বাহিনী পাহাড়ের চূড়ায় বসেছিল এবং আমাদের নজর ছিল চিনের মলডো গ্যারিসনের উপর ৷ সেই কারণেই ভয় পেয়ে সেনা সরাতে সম্মত হল বেজিং ৷"

এ বিষয়ে একই মত মেজর জেনারেল সিনহারও ৷ তিনি বলছেন, "আমাদের পাহাড়ের চূড়ার অবস্থান ছাড়া উচিত না, কারণ ওটাই আমাদের দর কষাকষির জায়গা ৷"

আরও পড়ুন: India-China Relation : সম্পর্কের অবনতিতে চিনকেই দায়ী করলেন জয়শঙ্কর

নয়াদিল্লি, 2 জানুয়ারি : ভারত ও চিনের (Indo China conflict) মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা ক্রমে বাড়ছে প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসী নীতিতে ৷ দেশের ভূখণ্ডে একের পর এক দখলদারির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং ৷ তবে চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয় দিল্লিও ৷ চিনকে (indo china standoff) জবাব দিতে ভারতও পরিকল্পিত ভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলে দাবি করলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসপি সিনহা (Retired Major General SP Sinha)৷ যেখানে যখন প্রয়োজন, সেখানে বাহিনীকে যাতে দ্রুত সরানো যায়, সে জন্য সড়কপথ ও সেতু নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বর্ডার রোডস অর্গ্যানাইজেশন (Border Roads Organisation)৷

28 ডিসেম্বর সীমান্তে তৈরি হওয়া নতুন 24টি সেতু ও তিনটি সড়কপথ দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Minister for Defence Rajnath Singh)৷ জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, অরুণাচলপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশের সীমান্তে এই নির্মাণ করেছে বিআরও ৷ এগুলির মধ্যে পূর্ব লাদাখে তৈরি হওয়া চিসুমলে-ডেমচক রোড বিশ্বের সর্বোচ্চ রাস্তা যেখানে মোটরগাড়ি চলে ৷ 19,000 ফিটেরও বেশি উচ্চতায় এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলে নিয়েছে এই নবনির্মিত রাস্তা ৷

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi on Chinese Occupation : এবার চিনা দখলদারির সত্যতাও মেনে নেওয়া উচিত কেন্দ্রের, দাবি রাহুলের

বর্তমানে চিন যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে আগামী দিনেও দু দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিনহার ৷ এই অবস্থায় চিনা সীমান্তে প্রতিনিয়ত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিআরও-র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি ৷ ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আগের সরকারের আমলে সীমান্তের সড়ক উন্নয়নের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ৷ বর্তমানে চিন সীমান্ত লাগোয়া এই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে আমাদের বাহিনী আরও উৎসাহিত হবে ৷ কোনওরকম প্রতিরোধের প্রয়োজন পড়লে আমরা শত্রুদের কড়া জবাব দিতে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ৷"

গলওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley) নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি ৷ 2020 সালে সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে গিয়েছিল দু দেশের সেনার মধ্যে ৷ এরপর দফায় দফায় সেনা স্তরে ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক হলেও এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্তই রয়ে গিয়েছে ৷ শুধুমাত্র উত্তর প্যাংগং সো লেক (de-escalation in north of Pangong Tso) ও কৈলাস রেঞ্জ থেকে সেনা সরিয়েছে দু পক্ষ ৷ তবে ওই এলাকার বাকি অংশে এখনও উত্তেজনার পরিবেশ রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Tricolour on China Border: চিন-নেপাল সীমান্তে 100 ফুটের তেরঙ্গা উত্তোলন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

এ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার বিকে খান্না (Brig BK Khanna) ইটিভি ভারতকে বলেছেন, "কেন চিনারা প্যাংগং সো-এর উত্তর দিকটা ছেড়ে দিল ? এর কারণ আমাদের বাহিনী পাহাড়ের চূড়ায় বসেছিল এবং আমাদের নজর ছিল চিনের মলডো গ্যারিসনের উপর ৷ সেই কারণেই ভয় পেয়ে সেনা সরাতে সম্মত হল বেজিং ৷"

এ বিষয়ে একই মত মেজর জেনারেল সিনহারও ৷ তিনি বলছেন, "আমাদের পাহাড়ের চূড়ার অবস্থান ছাড়া উচিত না, কারণ ওটাই আমাদের দর কষাকষির জায়গা ৷"

আরও পড়ুন: India-China Relation : সম্পর্কের অবনতিতে চিনকেই দায়ী করলেন জয়শঙ্কর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.