লখনউ (উত্তরপ্রদেশ), 7 ডিসেম্বর: সন্তানকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য সাত বছরের চেষ্টা ৷ সেই চেষ্টায় অবশেষে আশার আলো দেখতে পেলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড়ের এক মহিলা ৷ যাকে খুন করার অভিযোগে জেলে রয়েছেন সন্তান, সেই তরুণীকেই খুঁজে বের করলেন মা ৷ আপাতত অপেক্ষা ডিএনএ রিপোর্টের (DNA Report) ৷ তা ইতিবাচক হলেই সাত বছরের চেষ্টায় সফল হবেন আলিগড়ের ওই মহিলা (Aligarh Mother) ৷
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের (UP Police) তরফে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত 2015 সালে ৷ ওই বছর স্থানীয় গোন্ডা থানা এলাকার বছর 15-র এক কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের বাবা ৷ অপহরণ ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় ৷
শুরু হয় তদন্ত ৷ পুলিশ গ্রেফতার করে স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণুকে ৷ তখন তিনি 18-র তরুণ ৷ পরে আগরাতে (Agra) একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ সেই মৃতদেহ সনাক্ত করে নিখোঁজ কিশোরীর পরিবার ৷ ফলে মামলায় খুনের ধারা যুক্ত হয় ৷ তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন বিষ্ণু ৷
কিন্তু পুলিশের দাবি বিশ্বাস হয়নি বিষ্ণুর মায়ের ৷ তিনি বারবার ছেলের নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা না পেয়ে নিজেই খোঁজ শুরু করেন ৷ আর সেই খোঁজে চলে যায় সাত বছর ৷
অবশেষে তিনি উত্তরপ্রদেশের হাথরসে (Hathras) একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ওই মেয়েটির সন্ধান পান ৷ সেদিনের কিশোরী এখন তরুণী ৷ বয়স 22 ৷ ওই মহিলা পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানান ৷ নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ ওই তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষাও করানো হচ্ছে ৷
আপাতত সেই পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় বিষ্ণুর মা ৷ কারণ, রিপোর্ট ইতিবাচক হলেই তাঁর সাত বছরের লড়াই শেষ হবে ৷ ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ডজন খানেকেরও বেশি 'মিথ্যা মামলা' ! যোগীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইল পরিবার