“If political power is a relationship, it is necessary to discover exactly who or what has power in relation to whom or what.” - Alan R. Ball
উল্লিখিত আপ্তবাক্যটি সম্ভবত বিস্মৃত হয়েছিলেন দিল্লির শাসককুল । আর সম্ভবত সেই কারণেই শশকসম ক্ষিপ্রতা ও তৎপরতা দেখিয়ে তাঁরা প্রতিহিংসার ছক কষেছেন । সেই ছক বাস্তবায়নের জন্যও সামান্যতম বিলম্ব করেননি । এখন সেই তৎপরতা আর ক্ষিপ্রতার মাসুল মুখ পুড়িয়ে গুনতে হতে পারে দিল্লির বাদশাহ ও তাঁর উজির আমির ওমরাহদের ।
হতে পারে বলছি । হবেই বলতে পারছি না ।
কারণ, সংবিধানের চিরাচরিত ব্যাখ্যা এবং প্রচলিত ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর বিষয়টা তাঁরা প্রায় তাঁদের দৈনন্দিন কর্মসূচির অঙ্গ করে নিয়েছেন । তার ফল, আমজনতাকে যতটা না ভুগতে হয়েছে তার থেকে বেশি ভুগতে হয়েছে বা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে । প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে বাজি ধরে এই উজির আমির ওমরাহরা অশ্বমেধের ঘোড়ার কেতায় হিম্মত হ্রেষা হাঁকতে চান । এই প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে ফেরি করে তাঁরা রাজ্যে রাজ্যে দিগ্বিজয়ে বের হন । অথচ, সেই প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে এবং হচ্ছে তাঁদেরই অবিমৃশ্যকারিতার কারণে । এটাই আশ্চর্যের । এটা অনভিপ্রেতও বটে ।
বিপুল সংখ্যক মানুষের দুহাত ভরে দেওয়া ভোটে নির্বাচিত হয়েছে মমতা সরকার । তৃতীয়বারের জন্য । দিল্লি কলকাতা নিজেরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে করিয়েও রাজ্যে সর্বভারতীয় শাসকদলকে দু‘অঙ্কের কল্কেও ছোঁয়াতে পারেননি এই উজির আমির ওমরাহরা । নিজেদের এই হতাশা ও ব্যর্থতা আড়াল করতে না পারলে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিজেদের দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়বে । ওদিকে পিতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবর্গ (পড়ুন আরএসএস কর্তারা) এই অহেতুক অশ্বশক্তি ক্ষয়ে যারপরনাই বিরক্ত । ব্যাপারটা সমান্তর প্রগতি থেকে আর একটু এগোলেই গুণোত্তর প্রগতির দ্রুততা অর্জন করতে পারে । সেক্ষেত্রে দলের লাগাম বর্তমান ক্ষমতাসীন জুটির হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা । এমতাবস্থায় সদ্য নির্বাচিত সরকারকে নিরন্তর ব্যতিব্যস্ত রাখা, রাজ্যে বিন্দুমাত্র সুযোগ পেলেই মূষিকোচিত উৎপাত করা, একমাত্র কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি বা সিলমোহর পেয়েছে দিল্লির শাহি দরবারে ।
তাই তড়িঘড়ি করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ।
কোনও আলাপ আলোচনার বালাই নেই । সময়টা এসব করার অনুকূল কি না তা নিয়ে ভাবনা নেই । চটজলদি কুড়মুড়ে পদক্ষেপ ।
কেন একথা বলছি?
উত্তর খুঁজতে বেশি দূর যেতে হবে না ।
যশ সাইক্লোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক । যে কোনও কারণেই হোক, মমতা ও আলাপনের সেই বৈঠকে, বিধিসম্মত অংশগ্রহণে অনীহা । সেই সূত্রে শাহি দরবারের আমির ওমরাহ ও রাজ্যে তাঁদের সেবকদের বৃন্দটুইট । জোড়ায় জোড়ায় । আর তারপরই সেই পত্রাঘাত । আলাপনকে দিল্লিতে তলব ।
কী লেখা হল সেই চিঠিতে?
“ মন্ত্রীপরিষদের নিয়োগ কমিটি শ্রী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস) – কে ভারত সরকারের অধীনে নিযুক্তির অনুমোদন দিচ্ছে এবং এই অনুমোদন ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (ক্যাডার) রুলস ১৯৫৪ –র ৬ (১) নং বিধি অনুযায়ী অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলছে ।”
সোমবার ৩১ মে , ২০২১, সকাল ১০টার ভেতর নর্থ ব্লকের ডিওপিটি দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হল । যে ধারা মোতাবেক আলাপনকে এই আদেশ দেওয়া হল, সেই ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (ক্যাডার) রুলস ১৯৫৪ –র ৬(১) নং বিধি কী বলছে?
সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রাজ্যের অনুমোদন সাপেক্ষে কোনও রাজ্যের ক্যাডার অফিসার কেন্দ্রে কাজেও যোগ দিতে পারেন । তাঁকে অন্য কোনও রাজ্যেও পাঠানো যেতে পারে । কোনও অসুবিধা নেই । আর এনিয়ে যদি কেন্দ্র রাজ্য বিরোধ বাধে, যদি কেন্দ্র যেখানে অফিসারকে পাঠাচ্ছে সেটা রাজ্যের অপছন্দ হয়, রাজ্যের আপত্তি থাকে, তাহলেও কেন্দ্রের ইচ্ছাই বহাল থাকবে ।
এর থেকে একটা কথা পরিষ্কার । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সমর্থকরা এনিয়ে যতই গলা ফাটান না কেন, যতই অশ্রুপাতে জনদরদ নিজেদের দিকে টেনে আনার, ধরে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, শাহী দরবারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয় । কিছুতেই নয় । কোনওভাবেই নয় । বিষয়টা নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী । সে বিষয়েও সংশয়ের কোনও কারণ নেই ।
ব্যাপারটা পরিষ্কার । এনিয়ে অতীতেও প্রচুর পণ্ডিতি তর্ক চলেছে । ভবিষ্যতেও চলতে পারে । বিপ্লবী বাকপটুতা তাতে সমৃদ্ধ হতে পারে । কিন্তু বাস্তব এটাই যে, ভারতীয় সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রের আলখাল্লা পরে ভয়ঙ্কর রকমের কেন্দ্রিকতা দোষে দুষ্ট । প্রশাসনিক পরিসরে সেই কেন্দ্রিকতা প্রশ্নাতীত । আলাপন যে চাকরিটা করেন, সেটি ভারতের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের চাকরি । এধরণের চাকরিতে কর্মচারীরা রাজ্যের কাজে নিযুক্ত হতে পারেন । রাজ্যের কোষাগার থেকে বেতন ও ভাতা পাবেন তার জন্য । কিন্তু তাঁদের চাকরির শর্তগুলি আর বেতনক্রম কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে । এটাই সংবিধানের বিধান ।
স্মর্তব্য কে এম পানিক্করের সেই অমোঘ উক্তি । The Foundation of New India বইতে ।
“ The theory of co-ordinate powers of the Centre and the units, for a long time the favourite themes of constitutional lawyers, would hardly apply to the Indian Federation where the Centre is invested with such extraordinary powers and the ‘Provinces’ reduced frankly to a position of subordination.”
মোদ্দা কথা, তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা যাই-ই হোক না কেন, আদতে ভারতে কোনও যুক্তরাষ্ট্রীয় মডেল অনুসৃত হয় না । এখানে কেন্দ্র ‘অতি শক্তিশালী’ আর রাজ্যগুলো তার অধস্তন । আর এ কাজটা আর যেই করুক না কেন, এ কাজের জন্য আমরা যাকেই দায়ী করি না কেন, বর্তমানে কেন্দ্রে যারা ক্ষমতায় আছে, সেই বিজেপি এই মডেলের রূপকার নয় । তাঁরা এই মডেলের জন্য দায়ী নন । হতে পারে, তাঁরা সংবিধানের অভ্যন্তরে সুপ্ত এই কর্কট রোগের সুবিধা নিচ্ছেন । কিন্তু তাঁরা এই রোগের কারণ নন । কিছুতেই নন । কোনওভাবেই নন ।
আরও পড়ুন : মুখ্যসচিবের কী ভুল ছিল ! বাঙালি বলেই কি প্রতিহিংসা, প্রশ্ন মমতার
তবে কেন আজ এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ঘাড়ে দায় এসে পড়ছে?
পড়ছে তার কারণ তিনটে । এবং তিনটে কারণের জন্যই দায়ী শাহী দরবারের আমির ওমরাহরা ।
১) কালানৌচিত্য দোষ । বিজেপি-র দাঁত নখ বের করার টাইমিংটা ঠিক হয়নি । কোভিড ও যশের জোড়া ফলায় রাজ্য যখন বিপর্যস্ত তখন মমতার অবজ্ঞায় ক্ষুব্ধ বিজেপি আলাপনকে বদলি করল । কোন আলাপন? না যে আলাপন নিছক আমলা নন ৷ অতিমারি ও সাইক্লোন মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই আলাপন । ফলে রাজ্যের মুখ্য সচিবের ‘রুটিন বদলি’ বলে যেটা চালানো যেত, সেটা হয়ে গেল রাজ্যের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি কেন্দ্রের উদাসীনতার উদাহরণ । তাতে মমতার কিছু আসে যায় কি না, সেটা পরের প্রশ্ন । আসল কথাটা হল, আগামী পুর নির্বাচনে তা বিজেপি-র বিরুদ্ধে যেতে পারে । পুর নির্বাচনে বিপর্যস্ত হলেও তৃণমূল রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় থাকতে পারবে । কিন্তু, এরাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরটি ছারখার হয়ে যাবে । মুখাগ্নি করারও লোক জুটবে না । সেই সঙ্গে মমতার ‘ঔদ্ধত্য’ কীভাবে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত করল, কীভাবে পাশের রাজ্য ওড়িশা যেটা করে দেখাল, সেটা বাংলা করতে পারল না, সেসব নিয়ে মমতাকে বিঁধে ফেলার সুযোগ বিজেপি হারাল ।
২) হতজ্ঞান অনুমান । দিল্লির উজির-আমির-ওমরাহবর্গ সম্ভবত ভেবেছিলেন, আলাপন তো আর জন প্রতিনিধি নন । সুতরাং তাঁর অপসারণে মমতার চিরবিরানি বাড়বে কিন্তু আমজনতার কিছু এসে যাবে না । তখন জনবিচ্ছিন্ন মমতার রাগ হতাশা বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যাবে । কিন্তু বিষয়টাকে মমতা যে বাঙালি অস্মিতার কোর্টে টেনে নিয়ে যাবেন, অবাঙালি–বাঙালি ইস্যুতে পরিণত করার উদ্যোগ নেবেন, সেটা বোধ হয় গেরুয়া শিবির আন্দাজ,অনুমান, হিসেব কোনওটাই করে উঠতে পারেনি । নিট ফল, ভোটের আগে পরে হিন্দু- মুসলমান বিভাজনের তাস খেলতে বসে গেরুয়া পক্ষ এমন দান দিয়েছে যে, রুইতনের বিবি মমতার হাতে অবাঙালি–বাঙালি তাস হয়ে উঠে এসেছে । ‘দ্যাখ কেমন লাগে’ বোঝাতে গিয়ে ‘ নাও, ঠ্যালা সামলাও’ দশা । অনভিপ্রেত, সন্দেহ নেই । তবে দরকার ছিল না, সে কথা একেবারেই বলা যাবে না ।
যে মুহূর্তে বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে আমফানের অভিজ্ঞতা থেকে মমতা শিক্ষা নিয়েছেন, ত্রাণ বণ্টনে স্বচ্ছতার স্বার্থে দলীয় কর্মীদের চেয়ে প্রশাসনের ওপর বেশি ভরসা করছেন, আর সেটা ঠিকঠাক ‘ক্লিক’ করলে বিরোধী পক্ষকে ঘরে বসে বসে চাল চিঁড়ে চিবোতে হবে আর আঙুল চুষতে হবে, সেই মুহূর্তে বিজেপি এই নয়া ছক কষে প্রশাসনের মাথা আঘাত হানার ব্যবস্থা করে । যাতে দক্ষ প্রশাসককে হারিয়ে মমতার প্যাকেজ উড়ো খইতে পরিণত হয় । আর তা নিয়ে অতৃপ্ত আত্মারা হৈহৈরৈরৈ করে পিশাচ নৃত্য নাচতে পারেন । সুতরাং, দরকার হয়ত ছিল, কিন্তু পরবর্তী চাল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাটা ছিল না । বিপত্তি ঘটেছে সেইখানেই ।
৩) নিশ্ছিদ্র পদক্ষেপ নয় । আলাপনকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে । আলাপন যাবেন না । এপর্যন্ত পরিষ্কার । অন্তত এই প্রতিবেদন লেখা অবধি এটাই অনিবার্য ভবিতব্য । সেক্ষেত্রে শাহি দরবার কী করতে পারে? বড়জোর কারণ দর্শানোর নোটিস দিতে পারে । দিলে আলাপন কী করবেন? তিনি বলতেই পারেন, কিংবা হয়ত বলবেনই, তিনি অবসর নিয়েছেন । সরকার বাহাদুর তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছেন । কিন্তু এই তিন মাসের জন্য কলকাতা থেকে দিল্লি ছুটে গিয়ে তিনি সরকারের কোন উদ্দেশ্য সাধন করবেন? তবে তিনি বিষয়টা ভেবে দেখবেন, যদি কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে দু-বছরের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব কিংবা ক্যাবিনেট সচিব করার প্রতিশ্রুতি দেন ।
এরকম পাল্টা শর্ত আলাপনের দিক থেকে গেলে তখন কী করা হবে, সেটা বোধ হয় উজির আমির ওমরাহরা ভেবে দেখার সময় পাননি ।
আরও পড়ুন : ‘আলাপনের বদলি আসলে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত’
মনে রাখতে হবে, শোকজ নোটিস পেলে আলাপনের অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা পেতে অসুবিধা হতে পারে । কিন্তু সেটুকু মেনে নিলে তিনি একযোগে বাঙালি অস্মিতার আইকন, জনস্বার্থে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে তৃণমূলের সৌজন্যে রাজ্যসভার সাংসদ পদ এবং/ অথবা রাজ্য সরকারের তাবৎ জনমুখী কার্যকলাপের মুখ হয়ে ওঠার সুযোগ পাবেন । এক কথায় ‘লে ছক্কা’। কেন্দ্রর চোখ রাঙানি থেকে সহস্র আলোকবর্ষ দূরে, এক্কেবারে ইতিহাসের প্যাভেলিয়নে । আইনের বইতে যতই বড় বড় ব্যবস্থার কথা লেখা থাকুক, সাম্প্রতিক-অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, কেন্দ্রের নির্দেশ না মানলে আলাপনকে সে নির্দেশ মানতে বাধ্য করার সামর্থ্য, প্রত্যক্ষ শক্তি দিল্লির মুরুব্বিদের নেই । থাকলে ভোলানাথ পাণ্ডে, প্রবীণ ত্রিপাঠি, শাস্ত্রসীমা বল আর রাজীব মিশ্রের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা অন্যরকম হত । বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামালার পর এই তিন জনকেও দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল ৷ মমতা ছাড়েননি ৷ তর্জন- গর্জন ছাড়া, দিল্লির মুরুব্বিরাও কিস্যুটি করতে পারেননি । এবার শেষ পর্যন্ত কোথাকার জল কোথায় গড়াবে, সেটা সময়ই বলতে পারে ।
তবে আলাপন –সংঘাত একটা জিনিস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল । হার্বার্ট মরিসনের একটা বহুশ্রুত উক্তির সত্যতা । “ Bureaucracy is the price of parliamentary democracy.”
সংসদীয় গণতন্ত্রের দাম আমলাদেরকেই চোকাতে হয় ।
বিঃদ্রঃ - মতামত লেখকের নিজস্ব ।
(লেখক, শিক্ষাবিদ)