তিরুপুর (তামিলনাড়ু), 4 মার্চ: পেটের টানে ভিনরাজ্যে এসে প্রাণ গেল এক পরিযায়ী শ্রমিকের ৷ মৃতের নাম সঞ্জীব কুমার ৷ আদতে বিহারের বাসিন্দা সঞ্জীব তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুপুরে (Tirupur) কর্মরত ছিলেন ৷ স্থানীয় একটি কারখানায় উলের পোশাক তৈরির কাজ করতেন তিনি ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় সঞ্জীবের (Migrant Worker Run Over by Train) ৷ গত 2 মার্চ মধ্যরাতের পর রেললাইনের উপর থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সেই খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে সামিল হন সঞ্জীবের সহকর্মীরা (Migrant Workers Agitation) ৷ রেল পুলিশের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা ৷
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 মার্চ মধ্যরাতের ওই ঘটনার পরই তাঁদের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ সঞ্জীবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তিরুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু, এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ কেউ বা কারা রটিয়ে দেয়, ট্রেনে কাটা পড়ে সঞ্জীবের মৃত্যু হয়নি ৷ আসলে তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ এবং সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তাঁর মৃতদেহ রেললাইনের উপর ফেলে যাওয়া হয়েছে ৷ এই কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অন্য় পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা ৷ শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন ৷
উলের পোশাক তৈরির পেশায় যুক্ত শ্রমিকদের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই বিক্ষোভে সামিল হন ৷ সকলে মিলে জড়ো হন রেল পুলিশের স্থানীয় কার্যালয়ের সামনে ৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেললাইন থেকে সঞ্জীবের দেহ উদ্ধার করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন এবং গাড়িটি খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের অনুমান, লুটের উদ্দেশ্য়েই সঞ্জীবের উপর হামলা চালানো হয়েছিল ৷ সেই সময় সম্ভবত তিনি বাধা দিয়েছিলেন ৷ আর সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: পণ্যবোঝাই ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কা, কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা আশ্বাস দিয়েছে রেল পুলিশ ৷ তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ এই প্রসঙ্গে তাদের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, "রেললাইন পার করার সময়েই ট্রেনের ধাক্কা খান সঞ্জীব এবং কাটা পড়েন ৷ সংশ্লিষ্ট ট্রেনের চালকই আমাদের এই তথ্য দিয়েছেন ৷" তা সত্ত্বেও খুনের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক ৷