নয়াদিল্লি, 17 সেপ্টেম্বর : যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখালেন আফগান শরণার্থীরা ৷ বৃহস্পতিবারের ওই বিক্ষোভ থেকে তাঁরা সরব হলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৷ তাঁদের অভিযোগ, পাকিস্তান বরাবর আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলায় ৷ এবার এটা বন্ধ হওয়া উচিত ৷
বিক্ষোভকারীদের হাতে কিছু প্ল্যাকার্ডও ছিল ৷ সেই সব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল - ‘আফগানিস্তান ছাড় আইএসআই’, ‘আফগানিস্তান মুক্ত কর’, ‘পঞ্জশিরের সমর্থনে সরব হও’ ৷ আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ায় এই শরণার্থীরা যে ক্ষুব্ধ, তাও বিক্ষোভ থেকে তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Afghanistan : কাবুলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীর অপহরণে উদ্বিগ্ন বিদেশ মন্ত্রক
পুনে থেকে নয়াদিল্লিতে এই বিক্ষোভে অংশ নিতে আসা এক আফগান শরণার্থী মহম্মদ আহমেদি ইটিভি ভারতকে জানান, যাঁরা প্রতিরোধ করছেন, তাঁদের পাশে আছেন আহমেদিরা ৷ আর এই প্রতিরোধকে তাঁরা সমর্থনও করছেন ৷
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আফগানিস্তান থেকে সরতে শুরু করার আগেই সে দেশের দখল নেয় তালিবান ৷ শুধু পঞ্জশির এখনও তারা কব্জা করতে পারেনি ৷ সেখানে তালিবানের বিরুদ্ধে পালটা লড়াই চলছে এখনও ৷ এই পরিস্থিতিতে পঞ্জশির দখলে পাকিস্তান ও আইএসআই সরাসরি তালিবানকে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ সেই অভিযোগ যন্তর মন্তরে হাজির হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুখেও শোনা গেল ৷
আরও পড়ুন : Zabiullah Mujahid : কাবুলে প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় ছিলাম, ওরা আমাকে 'ভূত' ভেবেছিল : মুজাহিদ
শুধু বিক্ষোভেই থেমে থাকেননি তাঁরা ৷ নয়াদিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে তাঁরা স্মারকলিপিও দিয়েছেন ৷ সেখানে কড়া ভাষায় সমালোচনাও করা হয়েছে পাকিস্তানের ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘তোমরা পাকিস্তানের সেনা, তোমরা মৌলবাদী জঙ্গি তৈরি করছ, ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছ এবং তাদের অন্য দেশ দমনে পাঠাচ্ছ ৷ তোমাদের এই নেতিবাচক কাজের জন্য আমরা তোমাদের মৃত্যু পাঠাচ্ছি ৷’’ এছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কাছেও একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন আফগান শরণার্থীরা ৷
এমবিএ-র ছাত্র মহম্মদ আহমেদি জানান, তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে ৷ ফলে দেশের বাইরে তাঁর মতো যাঁরা থাকেন, তাঁরা পরিবারের থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না ৷ এতে তাঁরা গভীর সংকটে পড়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Taliban: মহিলাদের পড়াশোনায় ছাড়, তবে পুরুষদের সঙ্গে ক্লাস নয় ; ফতোয়া তালিবান সরকারের
তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভারত সরকারেরও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন আহমেদিরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, সরকার তাঁদের থাকার জায়গা দিক, চাকরির ব্যবস্থা করে দিক, যাতে তাঁদের অর্থের যোগান বজায় থাকে ৷