বহরমপুর, 6 নভেম্বর : রক্তের কোনও সম্পর্ক নেই, তবুও প্রতি বছর ভাইফোঁটায় দিদির বাড়িতে পৌঁছে যান অধীর চৌধুরী । তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের সব থেকে সাহসী ভোটার তিনি । সেই আদিবাসী দিদি রেণুকা মাড্ডির বাড়িতে এসে এবারও ভাইফোঁটা নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । দিদির হাতে তুলে দিলেন উপহার । দিদিও ভাইকে দিলেন তাঁর পছন্দের ব্লেজার ।
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee : সুব্রত আর কখনও মামারবাড়ি আসবেন না, আক্ষেপ মণ্ডলগ্রামের
অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বহরমপুরের চালতিয়া এলাকার বাসিন্দা রেণুকা মাড্ডির ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কাহিনী জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিনে । অধীর-ভক্ত রেণুকা সেদিন যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা ভোটের বাজারে উদাহরণ হিসাবেই থাকবে । ভোটের দিন রেণুকার ছোট ছেলে নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয় । ছেলের মরদেহ মর্গে রেখে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে ভোট দিয়েই ছেলের শেষকৃত্য করেছিলেন তিনি । একদিন পর তা জানতে পেরে রেণুকার বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন অধীর । সেদিন যে সম্পর্ক ভাই-বোনের সুতোয় গাঁথা হয়েছিল তা আজও ম্লান হতে দেননি কেউই । তারপর থেকেই ভাইফোঁটার দিন দিদির বাড়িতে ছুটে আসেন মুর্শিদাবাদের ‘রবিনহুড’ । সব সমস্যায় দিদির পাশে দাঁড়ান ।
আরও পড়ুন : Bhai Phonta Special Misti : ডাব মালাই থেকে কাজুবাবু, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে চাহিদা বিশেষ মিষ্টির
রেনুকা মাড্ডি বলেন, ‘‘এত বড় মানুষকে ভাইফোঁটা দিতে পেরে আমি গর্বিত ৷ সমস্যার মধ্যে থাকলে দাদাকে বললে দাদা পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করে দেন ।’’ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ভালোবাসার টানেই বারবার আসি । যতদিন ডাকবেন, ততদিন আসব ।’’