কোকারনাগ, 19 সেপ্টেম্বর: অনন্তনাগের কোকারনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের যে গুলির লড়াই চলছিল, তা অবশেষে মঙ্গলবার শেষ হয়েছে ৷ এডিজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার এই খবর দিয়েছেন ৷ অভিযানের প্রথম দিনই নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য শহিদ হন ৷ এ দিন পীর পাঞ্জালের পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার উজাইর খান নিহত হয়েছেন বলে কাশ্মীরের ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন । এই অভিযান প্রায় সাতদিন ধরে চলল ৷
জম্মু ও কাশ্মীরের এডিজিপি পুলিশ বিজয় কুমার জানান, লস্কর কমান্ডার উজাইর খান নিহত হয়েছেন । তার দেহ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে । উজাইরের সঙ্গে আরও এক জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । অনন্তনাগের কোকারনাগে তল্লাশি অভিযান চলছে । সেখানে আরও অস্ত্র পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তাছাড়া জঙ্গলে আরও এক জঙ্গির দেহ মিলতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৷
নিরাপত্তা বাহিনী গত 12 সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের কোকারনাগে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করেছিল ৷ অভিযানের দ্বিতীয়দিন সেনাবাহিনীর কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধৌনচক এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট এনকাউন্টারে শহিদ হন । পরে সেখান থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে যায় । এই জঙ্গিদের খুঁজে বের করতেই এই অভিযান চালানো হয় । লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার উজাইর খানও এই জঙ্গিদের মধ্যে ছিল । এ সংঘর্ষে উজাইরের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে । তারা যে এলাকায় লুকিয়ে ছিল, সেটি কোকারনাগের গাদোল গ্রাম । এজন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এর নামকরণ করা হয় 'অপারেশন গারোল' ।
এছাড়া বারামুলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে । এই জঙ্গিরা ওডি সেক্টরে এলওসির কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, যা ব্যর্থ করা হয়েছে । তাছাড়াও, গত মঙ্গলবার রাজৌরিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে এক জঙ্গি নিহত হয় । রাজৌরির ঘটনার প্রায় কাছাকাছি সময় নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে কোকারনাগের জঙ্গলে অভিযান শুরু হয় ৷ সেই অভিযান চলার সময় সেনার উপর অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা ৷ সেই হামলায় তিনজন শহিদ হন ৷ বেশ কয়েকজন আহত হন ৷ আহতদের মধ্যে শুক্রবার এক নিরাপত্তা আধিকারিক মারা যান ৷ অন্যদিকে সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে আরেক সেনা কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ।
আরও পড়ুন: শহিদ জওয়ানের দেহ ফিরল গ্রামে, শোকে ভেঙে পড়লেন সবাই