চণ্ডীগড়, 11 নভেম্বর : আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পঞ্জাবের ভাটিন্ডা (গ্রামীণ)-এর বিধায়ক রুপীন্দর কৌর রুবি (Rupinder Kaur Ruby) ৷ আর সেই নিয়েই গতকাল থেকে সরগরম ওই রাজ্যের রাজনীতি ৷ এই ঘটনা নিয়ে আপের (AAP) কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি (BJP) ৷ আপের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির ৷
পঞ্জাবের (Punjab) বিজেপি নেতা সুখপাল সিং সরাই রুবির প্রশংসা করেছেন ৷ তার পর দাবি করেছেন, আপের শীর্ষ নেতৃত্বের জন্যই ওই দলে যাঁরা ভাল কাজ করছেন, তাঁরা থাকতে পারছেন না ৷ আগামিদিনে আরও আপ বিধায়ক-কর্মী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সঙ্গত্যাগ করবে বলেও তিনি দাবি করেছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, আপের টিকিট বণ্টন নিয়ে যে লড়াই হচ্ছে, তাতেও দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Lakhimpur Kheri Violence: লখিমপুরে গুলি মন্ত্রীর ছেলের রিভলবার থেকেই, উল্লেখ ফরেনসিক রিপোর্টে
এদিকে আপের মুখপাত্র জগটার সিং সংঘেরা জানান, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অনুমোদনেই প্রার্থী হয়েছিলেন রুবি ৷ তবে রুবি বা অন্যরা কেন কংগ্রেসে যাচ্ছেন, সেই উত্তর দলত্যাগীদের কাছেই আছে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আম আদমি পার্টি তাঁদেরই টিকিট দেবে, যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন ৷
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই পঞ্জাবের রাজনীতিতে ঝড় চলছে ৷ আর কয়েক মাস পরই ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ কিন্তু তার আগে গত কয়েক মাস ধরে খবরের শিরোনামে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ ৷ এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আপের কোন্দলও ৷ তাই ভোটের সময় ওই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ কি হয়, আপাতত সেটাই দেখার ৷
আরও পড়ুন : Nisha Dahiya : নাম বিড়ম্বনায় নিশার মতো ভুগেছেন গোলকিপার অমরিন্দরও
2017 সালের বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে কংগ্রেস 77টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে ৷ বিজেপি ও শিরোমনি আকালি দলের জোট 10 বছর পর বিরোধী আসনে চলে আসে ৷ আর 117 আসনের বিধানসভায় 20টিতে জয় পায় আপ ৷ তারাই ওই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ৷ কারণ, আকালি দল পেয়েছিল 15টি আসন আর বিজেপি পেয়েছিল 3টি আসন ৷