নয়াদিল্লি, 15 এপ্রিল: নয়াদিল্লির 12, তুঘলক লেনের বাড়িটা আজ খালি খালি । কয়েকদিন আগেই এই রাস্তা ধরেই কখনো বেরিয়েছেন মর্নিংওয়াক করতে আবার কখনও বেরিয়েছেন বিশেষ কাজে । আর এই আসা-যাওয়ার মাঝেই গড়ে উঠেছিল নতুন এক সম্পর্ক । কিন্তু এই বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে । আর তাতেই মন খারাপ রাহুলের বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক আইসক্রিম বিক্রেতার।
সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় রাহুল গান্ধিকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিয়েছিল লোকসভার সচিবালয়। 30 দিনের নোটিশে রাহুলকে ছাড়তে হবে নয়াদিল্লির 12, তুঘলক লেনের বাড়িটা। ইতিমধ্যেই একটু একটু করে মালপত্র সরানো শুরুও হয়ে গিয়েছে । তবে এত কিছু বোঝেন না দিল্লির মধ্যবয়সি আইসক্রিম বিক্রেতা। কারণ তাঁর কাছে রাহুল গান্ধি কোনও হাইপ্রোফাইল রাজনীতিবিদ নন। রাহুল তাঁর কাছে একজন সভ্য-ভদ্র-নম্র্র মানুষ। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় রাহুল গান্ধি, রাস্তায় আইসক্রিম বিক্রেতাকে যখনই দেখতেন তখনই হাসতেন, হাত নাড়াতেন । তিনি বলেন, "আমি এখানে 2 বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করছি। কিন্তু এখন খুব খালি লাগছে। তিনি যখনই আমাকে দেখতেন, হাসতেন, হাত নাড়াতেন । কিন্তু আর তাঁকে আমি দেখতে পাব না।"
আরও পড়ুন: জন্মদিনের পার্টি শেষেই বান্ধবীকে নৃসংশভাবে খুন প্রেমিকের
প্রসঙ্গত, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্ণাটকে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাতের সুরাত আদালতে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল। গত 23 মার্চ সেই মামলার রায় বেরিয়েছে। আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু'বছরের কারাদণ্ড দেয়। ফলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বাতিল হয়ে যায় রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ । তারপরেই তাঁকে সাংসদ হিসাবে পাওয়া সরকারি বাংলো ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
বাড়ির বাইরে থাকা সিকিউরিটি অফিসারে কথা অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধি বাড়ি খালি করতে শুরু করে দিয়েছেন। আরও কিছুদিন সময় লাগবে পুরো খালি করতে । মূলত, 2004 সালে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে লোকসভা ভোটে জেতার পর থেকে এটাই ঠিকানা ছিল রাহুল গান্ধির। তবে এবার তাঁর ঠিকানা হতে চলেছে 10 জনপথ রোড ।