মুম্বই, 7 জানুয়ারি: করসেবক শালিনী দবির ৷ বয়স 96 ৷ 90 এর দশকে রাম মন্দির আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া এই নবতিপর বৃদ্ধাকে আগামী 22 জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ ঐতিহাসিক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে জানালেন এই করসেবক । পাশাপাশি তিনি স্মরণ করলেন বাবরি কাঠামোর পতনের ঘটনা প্রবাহ ৷ জানালেন, সেই সময় সংশোধনাগারগুলি পূর্ণ থাকায় কীভাবে তিনি বাধ্য হয়ে একটি স্কুলে বন্দি অবস্থায় ছিলেন ৷
তখন 63 বছর বয়স দবিরের ৷ 60 কিলোমিটার পথ হেঁটে তিনি অযোধ্যায় পৌঁছন এবং 1990 সালের 30 অক্টোবর অযোধ্যায় পৌঁছনোর পর তিনি বাবরি কাঠামোর পতনের সাক্ষী হন । মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা দবির 1990 সালে করসেবার জন্য মুম্বই ছেড়েছিলেন । তিনি বলেন, "করসেবকদের উপর গুলি চালানো হয়েছিল, এবং পুলিশ আমাদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছিল...৷ ইউপি পুলিশ দাদার থেকে একদল মহিলা করসেবককে গ্রেফতার করে এবং তাঁদের স্কুলপ্রাঙ্গণে রাখে । জেল পূর্ণ থাকায় আমাকে একটি স্কুলে বন্দি করা হয়েছিল ৷"
তিনি আরও দাবি করেন যে, তাঁর উপর লাঠিচার্জই হয়েছে, তাঁর চারপাশে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চলেছে ৷ একটি বুলেট তাঁর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছিল বলে দাবি করেন প্রবীণ করসেবক ৷ তাঁর কথায়, "আমার পাশের লোকটি বুলেটে মারা যান ৷"
শালিনী আরও বলেন, "অনেক চেষ্টার পরেও একটি দেওয়াল ভাঙছিলই না ৷ তখন একটি বাঁদর সেই দেওয়ালে বসে এবং দেয়ালে চাপ প্রয়োগ করায় সব ধুলোয় পরিণত হয়, দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে ।" তিনি আরও বলেন যে, "বাবরি কাঠামো ভেঙে পড়ার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন লোক এসে মিষ্টি দিয়ে বললেন, 'তোমরা যা চেয়েছিলে এখন তাই পেয়েছো'। আমিও তাঁকে কিছু মিষ্টি দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে তাঁকে আর পেলাম না ।"
রাম মন্দির নির্মাণে আপ্লুত করসেবক বৃদ্ধা বলেন, "এখন যে রাম অযোধ্যায় ফিরে আসছেন, আমি খুব খুশি । এখন রাম মন্দির তৈরি হয়েছে, সবকিছু ভালো হবে, সবাই উপকৃত হবে ৷" তিনি এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন । বলেন, "নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের বিশাল অবদান রয়েছে, যার কারণে আজ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে ৷" তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে হাঁটতে না পারার বিষয়ে হতাশাও প্রকাশ করেন । বলেন, "দুঃখের বিষয় হল আমার পা কাজ করছে না এবং আমি হাঁটতে পারব না ৷"
আরও পড়ুন: