নয়াদিল্লি, 31 অগস্ট: এটা ছিল জীবন-পণ লড়াই ৷ 55 বছরের এক মহিলার হৃদয় বসানো হবে 19 বছরের তরুণের শরীরে ৷ তাতেই বাঁচবে জীবন ৷ তবে সময়টা ছিল বড় ফ্যাক্টর ৷ কত দ্রুততার সঙ্গে সেই হৃদযন্ত্র এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই চ্যালেঞ্জ ৷ এইমস হাসপাতাল থেকে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেই হৃদযন্ত্র মুহূর্তে পৌঁছল ৷ মাত্র 14 মিনিটে অ্যাম্বুল্যান্স অতিক্রম করল দীর্ঘ 9 কিলোমিটার রাস্তা (9 Km In 14 Minutes In Traffic)৷ আর এই মহৎ কার্যে যে যার মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পথচলতি মানুষ ও গাড়ির চালকরা ৷
ওখলার ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটে তরুণের শরীরে প্রৌঢ়ার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিল্লি এইমসে ব্রেন ডেথ হওয়া এক প্রৌঢ়া তাঁর হৃদযন্ত্র দান করে দিয়ে গিয়েছেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে খবরটা জানানো হয় ন্যাশনাল অর্গ্যান টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনকে ৷ সেখান থেকে ডাক্তরদের একটি দল এইমসে গিয়ে প্রৌঢ়ার শরীর থেকে হৃদযন্ত্রটি সংগ্রহ করে ৷
আরও পড়ুন: কাটাছেঁড়া ছাড়াই 104 বছরের বৃদ্ধের হৃৎপিণ্ডের ভালভ প্রতিস্থাপন
এরপর সেটি নিয়ে তারা পাড়ি দেয় ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের দিকে ৷ যেখানে ভর্তি রয়েছে 19 বছরের ওই তরুণ ৷ দুটি হাসপাতালের মধ্যের দূরত্ব 9.2 কিলোমিটার ৷ এই গোটা রাস্তা মাত্র 14 মিনিটে অতিক্রম করা হয় ৷ ঝড়ের গতিতে হৃদযন্ত্র নিয়ে ছুটতে থাকে অ্যাম্বুলান্স ৷ তৈরি করা হয় সেফ করিডর ৷ আশপাশে পথচলতি মানুষ ও যানবাহন রাস্তা করে দেয় সেই অ্যাম্বুলান্সকে ৷ যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফোর্টিসে পৌঁছে অস্ত্রোপচার শুরু করে দিতে পারেন চিকিৎসকরা ৷
গত দেড় বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে ওই তরুণ ৷ তাঁর পরিস্থিতি আশংকাজনক হয়ে পড়ে দিনকয়েক আগে ৷ তারপর থেকেই তাঁর বেঁচে থাকার জন্য খোঁজ শুরু হয়েছিল হৃদযন্ত্রের (Heart transplant)৷ তাঁর দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করি আমরা ৷