নয়াদিল্লি, 14 ফেব্রুয়ারি: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া (Turkey and Syria Earthquake) ৷ ইতিমধ্যে এই দুই দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ ও বিভিন্ন সংগঠন ৷ সেই সাহায্য়কারীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ভারত ৷ তারা শুরু করেছে অপারেশন দোস্ত (Operation Dost) ৷ অনেক মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছেন এই দুই দেশের পাশে থাকতে ৷ সেই তালিকায় রয়েছে জাইদান কুরেশিও (Zaidan Qureshi) ৷ বছর আটেকের এই শিশুর মনও তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি দেখে ভারাক্রান্ত ৷ তাই পকেট মানি খরচ করেও সে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে তুরস্কের জন্য (Boy donates pocket money) ৷
জাইদান কুরেশি সেই কারণে সম্প্রতি এসেছিলেন নয়াদিল্লিতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসে (Turkish Embassy in New Delhi) ৷ সেখানে তিনি শীতবস্ত্র দান করেন ওই দেশের মানুষের জন্য ৷ তার কথায়, কিছুদিন আগে টিভি দেখার সময় সে তুরস্কে ভূমিকম্পের দৃশ্য দেখে । তখনই তার মনে হয় যে ওই ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য কিছু করা যায় কি না ! তারপরই সে এই নিয়ে তার বাবার সঙ্গে কথা বলে ৷ পরে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় তুরস্কের দূতাবাসে ৷ সেখানকার কর্মীদের হাতে তুলে দেয় ত্রাণ সামগ্রী ৷
কীভাবে সে ত্রাণ সংগ্রহ করল ? উত্তরে জাইদান জানিয়েছে যে সে প্রতিদিন তার বাবার কাছ থেকে পকেট মানি হিসাবে 100 টাকা পায় । সে এটি এক জায়গায় তা রেখে দেয় ৷ পাশাপাশি, সে ইতিমধ্যে কিছু অর্থ সঞ্চয়ও করেছিল ৷ সেই টাকা বাবাকে দেয় ৷ ওই টাকার বদলে তুরস্কের মুদ্রা আনতে বলে সে ৷ অন্যদিকে তার বাবা 112টি জ্যাকেট কেনেন ত্রাণ হিসাবে পাঠানোর জন্য ৷ সেগুলিই পিতা-পুত্র জুটি জমা দিয়েছেন তুরস্কের দূতাবাসে ৷ জাইদানের বাবা কাশিফ কুরেশি বলেন, ‘‘এই 112টি জ্যাকেট কিনতে প্রায় 22 হাজার টাকা খরচ হয়েছে ৷ যার মধ্যে সাড়ে সাত হাজার টাকা জাইদান তারা পকেট মানি থেকে দিয়েছে ৷ বাকি টাকা তিনি দিয়েছেন ।’’
তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পে 35 হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন ৷ আরও হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন । তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকার যখন এই বিপর্যয় মোকাবিলা করছে, তখন অন্যান্য দেশের সরকারও এই সংকটের সময়ে তাদের সহায়তা করছে । আবার কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করতে চান, তো তাঁরা তুরস্ক ও সিরিয়ার দূতাবাসে গিয়ে সাহায্য করছেন ৷ ঠিক সেই ভাবে কাশিফ ও জাইদান নয়াদিল্লির তুর্কি দূতাবাসে গিয়ে সাহায্য করে এসেছেন ৷
আরও পড়ুন: তুরস্কে বালিকার প্রাণ বাঁচাল রোমিও-জুলি, আলাপ করুন এনডিআরএফ-এর দুই সদস্যের সঙ্গে