এটাহ (উত্তরপ্রদেশ), 2 জানুয়ারি: তিনবার অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ফোন করেও কোনও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ৷ ফলে সময়ে চিকিৎসা শুরু না হওয়া মৃত্যু হল 50 বছরের এক ব্যক্তির ৷ সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলায় ৷ অভিযোগ সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবায় ফোন করা হলে জানানো হয়, এটাহর পাতিয়ালা গেট এলাকায় অ্য়াম্বুল্যান্স পরিষেবা উপলব্ধ নয় ৷ তাই বাধ্য হয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে ঠেলাগাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিজনরা ৷ হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেই মৃত্যু হয় ব্যক্তির ৷
মৃতের ছেলে আমন জানিয়েছেন, এটহার পাতিয়ালা গেট এলাকার বাসিন্দা তাঁরা ৷ তাঁর বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা ৷ দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় অস্বস্তিবোধ করেন তিনি ৷ ফলে বাড়ি ফিরেই শুয়ে পড়েন ৷ বাবাকে অসময়ে শুয়ে পড়তে দেখে, কী হয়েছে জানতে চান আমন ৷ তিনি জানান, শরীর ভালো লাগছে না ৷ এর পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় ৷ তখন আমন অ্য়াম্বুল্যান্স পরিষেবার 108 নম্বরে ফোন করেন ৷ কিন্তু, ফোনের ওপার থেকে তাঁকে বলা হয়, এটাহর ওই এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা উপলব্ধ নেই ৷
মোট তিনবার ফোন করে একই জবাব পান আমন ৷ এরপর বাধ্য হয়েই প্রতিবেশীদের সাহায্যে ঠেলা গাড়ি করে অসুস্থ ব্যক্তিকে এটাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক ব্যক্তির কাছে জানতে চান, তাঁর কী সমস্যা হচ্ছে ? কিন্তু, কোনও জবাব দেওয়ার আগেই জ্ঞান হারান তিনি ৷ দ্রুত প্রয়োজনীয় শুশ্রূষা করা হলেও, জ্ঞান ফেরেনি তাঁর ৷ এরপর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷
মৃতের ছেলে অভিযোগ করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় তাঁর বাবার সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়নি ৷ সময়ে চিকিৎসা হলে, তিনি প্রাণে বাঁচতেন ৷ এই ঘটনায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ এর পরেই এটাহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর উমেশ ত্রিপাঠী ওই রোগীকে ঠেলাগাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযোগকারীর ফোন কলের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে জরুরি পরিষেবা বিভাগে কে বা কারা দায়িত্বে ছিলেন ? সেই রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে ৷ ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন: