নয়াদিল্লি, 26 অগস্ট : উপনির্বাচন নিয়ে দলের লিখিত মতামত জমা দিতে আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে যাচ্ছেন 5 সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ৷ এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy), সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu S Ray), জহর সরকার (Jawhar Sircar), সাজদা আহমেদ (Sajda Ahmed) এবং মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ৷ এর আগে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলকে চিঠি দিয়ে মতামত জানাতে বলেছিল ৷
এ বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে । কারণ এই মুহূর্তে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে এই উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে । কাজেই গোটা রাজ্যের চোখ এখন সেই উপনির্বাচনের দিকে । একে করোনার মরসুম । নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা না করলেও, হাত গুনছে শাসক দল । কারণ নভেম্বরের গোড়ার মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে না এলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাই তারা চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ভোট করিয়ে নিতে । তাই আজ দলের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে 5 সাংসদ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
উপনির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় মাস দুই থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ উপনির্বাচন যাতে দ্রুত করা হয়, তার জন্য বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল ৷ সম্প্রতি, নির্বাচনের কমিশনের তরফে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে ৷ করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করাটা উচিত কি না সেই বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে ৷ 30 অগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে মতামত জানাতে হবে ৷
এদিকে, উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অনেক আগে থেকেই শুরু গিয়েছে ৷ করোনা আবহে উপনির্বাচন হোক তা চাইছে না বিজেপি ৷ পুরভোট আগে করানোর দাবি জানাচ্ছে তারা ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে ৷ দলের অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে ৷ তাই বিজেপিও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে ৷ সেক্ষেত্রে বিজেপিও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে ৷ যাতে মমতাকে পদত্যাগ করতে হয় ৷