হরিদ্বার, 2 জানুয়ারি : হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্মীয় সম্মেলনে বিদ্বেষমূলক ভাষণের যে অভিযোগ (Haridwar Dharma Sansad Hate Speech Case) উঠেছিল, তার তদন্তে পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) বা সিট (SIT) গঠন করা হল ৷ গাড়ওয়ালের ডিআইজি করণ সিং নাগন্যাল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে বিদ্বেষমূলক ভাষণের যে অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্ত করতে একটি 5 সদস্যের সিট তৈরি করা হয়েছে ৷ এই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন আধিকারিক ৷ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে ৷
আরও পড়ুন : Dharam Sansad in Haridwar : হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে বিতর্কিত মন্তব্য, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি অশোক কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে বিদ্বেষমূলক ভাষণের ঘটনায় আরও দু’জনের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ৷ এঁরা হলেন সিন্ধু মহারাজ এবং জ্যোতি নরসিংহনাদ গিরি ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়ো ক্লিপ দেখে তাঁদের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ সংশ্লিষ্ট এফআইআর-এ 295এ ধারাটিও যোগ করা হয়েছে ৷’’ এছাড়াও এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে সাগর সিন্ধুরাজের ৷
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পাকড়াও করেছে পুলিশ ৷ ধৃতরা হলেন ধর্ম দাস, অন্নপূর্ণা, ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগি-সহ আরও কয়েকজন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 153এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো ফুটেজটি খতিয়ে দেখার পরই এই ঘটনায় 295 নম্বর ধারাটি যুক্ত করা হয় ৷ উল্লেখ্য, গত 17 থেকে 19 ডিসেম্বর হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন : হেট স্পিচ রুখতে ইউ টিউবের বিজ্ঞাপনে কড়া নজর গুগলের
ঘটনায় অভিযুক্তদের অন্যতম ওয়াসিম রিজভি উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৷ তাঁর বিরুদ্ধে 153এ ধারায় মামলা রুজু করা হয় ৷ উল্লেখ্য, রিজভিকে ইসলাম ধর্ম থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ তারপরই গত মাসে তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন ৷ হরিদ্বারের ওই ধর্মীয় সম্মেলনের কর্মসূচি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল ৷ তখনই সেখানকার বক্তারা বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেন বলে অভিযোগ ৷ দ্রুত সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে ৷ সমালোচনার মুখে পদক্ষেপ করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন ৷