গোয়ালিয়র, (মধ্য প্রদেশ) 22 মে : সম্প্রতি দেশে কোভিড-19 মোকাবিলায় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) 2-ডিজি (2-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ) নামক ‘জীবনদায়ী’ ওষুধ এনেছে ৷ কিন্তু যদি এটা জানা যায় যে, এই ওষুধটি তৈরি হয়েছিল 25 বছর আগে, গোয়ালিয়রের একটি ল্যাবরেটরিতে, এমনটাই জানালেন ডাঃ করুণাশঙ্কর পাণ্ডে ইটিভি ভারতকে ৷
কী বললেন ডাঃ করুণা শঙ্কর পাণ্ডে ?
1995-এর আগে ভারত আমেরিকা থেকে আইএনএমএএস-এর মাধ্য়মে এই ওষুধ আমদানি করত, তার অনেক শর্তও ছিল ৷ আইএনএমএএস-এর ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ বিনয় জৈন এই নিয়ে একটি বৈঠক করেন ৷
তখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ড. এপিজে আবদুল কালাম ৷ ডিআরডিও-র ডাইরেক্টর-জেনারেলও ছিলেন তিনি ৷ তিনি ডিআরডিই-র ডাইরেক্টর আরবি স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করেন যদি এই ওষুধ ভারতেই তৈরি করা যায় ৷ তার পর এই প্রজেক্টের দায়িত্ব পান ডাঃ করুণাশঙ্কর পাণ্ডে ৷
প্রেসিডেন্ট ড. এপিজে আবদুল কালামের ভূমিকা
ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড এলায়েড সায়েন্স (আইএনএমএস)-এর ডাঃ বিনয় জৈনের সঙ্গে বারে বারে বৈঠকের পর ড. আবদুল কালাম ডিআরডিই-র ডাইরেক্টর স্বামীর সঙ্গে এই প্রজেক্টের বিষয়ে আলোচনা করেন ৷ এই সময় আইএনএমএএসকে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরির প্রজেক্টের ভার দিয়েছিল জার্মানি ৷
এর ফলে 1998 সালের 9 জানুয়ারি আমেরিকা 23টি ডিআরডিও ল্যাবরেটরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ৷ এর ফলে আমেরিকা থেকে ওষুধ আসা বন্ধ হয়ে যায় ৷ তখন দেশে এই ওষুধ তৈরি করার ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷
গোয়ালিয়রে কী ভাবে তৈরি হল এই ওষুধ ?
বিজ্ঞানী ডাঃ করুণাশঙ্কর পাণ্ডের নেতৃত্বে 1998 সালে এর উৎপাদন শুরু হয় ৷ ডিআরডিই আইসিএমআর-এর অনুমোদন নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল থেকে ছাড়পত্র পায় ৷ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ড্রাগের পেটেন্টের পদ্ধতি শুরু হয়, 2002 সালে তা চূড়ান্ত ছাড়পত্র পায় ৷
ইতিমধ্যে ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ওষুধের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ৷ এই পেটেন্ট দলে ছিলেন, ডাঃ করুণাশঙ্কর পাণ্ডে, ডাঃ শশীনাথ দুবে, ডাঃ রামামূর্তি বেদান্ত স্বামী, আইএনএমএএস-এর ডাঃ রাকেশকুমার শর্মা এবং ডাঃ বিএস দ্বারকানাথ ৷