ETV Bharat / bharat

টিকার ভাঁড়ার শেষ, মুম্বইয়ে বন্ধ 26টি টিকাকরণ কেন্দ্র - মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে

টিকার ভাঁড়ার শেষ ৷ আর সেই কারণেই বন্ধ হয়ে গেল মুম্বইয়ে 26টি টিকাকরণ কেন্দ্র ৷ অন্যদিকে, পুণেতেও একই কারণে 100টির বেশি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে ৷ এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে কেন্দ্রের ৷

26 Mumbai Vaccine Centres Shut, Maharashtra Flags After Centre's Charge
টিকার ভাঁড়ার শেষ, মুম্বইয়ে বন্ধ 26টি টিকাকরণ কেন্দ্র
author img

By

Published : Apr 8, 2021, 4:06 PM IST

মুম্বই, 8 এপ্রিল : বন্ধ হয়ে গেল মুম্বইয়ে 26টি করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র ৷ মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির কথা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে ৷ আপাতত কেন্দ্রের পাঠানো টিকার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ নতুন টিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি ফের চালু করা সম্ভব নয় ৷

প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্ধ হয়ে যাওয়া 26টি টিকাকরণ কেন্দ্রের মধ্যে 23টিই নবি মুম্বইয়ের ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে কথা বলেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ৷ মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সেন্টারগুলিতে টিকাকরণের কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে সাতারা, সাংলি, পানভেলের মতো জায়গাগুলিতে আপাতত করোনার টিকাকরণ বন্ধ ৷ পাশাপাশি পুণেতেও 100টির বেশি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে একই কারণে ৷ এ নিয়ে টুইটও করেছেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে ৷

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার ৷ মহারাষ্ট্র দেশের জনবহুল রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ এখানে এক সপ্তাহে 40 লাখ এবং এক মাসে 1 কোটি 60 লাখ টিকার ডোজ দরকার ৷ এই প্রসঙ্গ রাজেশ তোপে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যা গুজরাতের দ্বিগুণ ৷ অথচ গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র, দুই রাজ্যকেই 1 কোটি করে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন : আইআইটি রুরকির 88 জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত

সমস্য়ার কথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে স্থির করেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ কোভিড সংক্রান্ত বৈঠকে তোলা হবে এই প্রসঙ্গ ৷ এর পাশাপাশি, ‘রেমডেসিভি’-র সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ, আশপাশের রাজ্যগুলি থেকে অক্সিজেন সরবরাহ এবং ভেন্টিলেটরের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার কথাও তোলা হবে বৈঠকে ৷

রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে 7 লাখের বদলে 17 লাখ করোনা টিকার ডোজ পাঠাবে কেন্দ্র ৷ কিন্তু মহারাষ্ট্রের এক সপ্তাহে প্রয়োজন 40 লাখ ডোজ ৷ ফলে 17 লাখেও সমস্য়া মিটবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মহারাষ্ট্র টিকার অভাব নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না ৷ উপরন্তু, মহারাষ্ট্রে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷ এমনকী, এর ফলে গোটা দেশের প্রচেষ্টা ব্য়াহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হর্ষ বর্ধন ৷

এর পাল্টা রাজেশ তোপে বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না ৷ আমরা কাউকে দোষারোপ করতেও চাই না ৷’’

মুম্বই, 8 এপ্রিল : বন্ধ হয়ে গেল মুম্বইয়ে 26টি করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র ৷ মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির কথা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে ৷ আপাতত কেন্দ্রের পাঠানো টিকার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ নতুন টিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি ফের চালু করা সম্ভব নয় ৷

প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্ধ হয়ে যাওয়া 26টি টিকাকরণ কেন্দ্রের মধ্যে 23টিই নবি মুম্বইয়ের ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে কথা বলেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ৷ মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সেন্টারগুলিতে টিকাকরণের কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে সাতারা, সাংলি, পানভেলের মতো জায়গাগুলিতে আপাতত করোনার টিকাকরণ বন্ধ ৷ পাশাপাশি পুণেতেও 100টির বেশি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে একই কারণে ৷ এ নিয়ে টুইটও করেছেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে ৷

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার ৷ মহারাষ্ট্র দেশের জনবহুল রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ এখানে এক সপ্তাহে 40 লাখ এবং এক মাসে 1 কোটি 60 লাখ টিকার ডোজ দরকার ৷ এই প্রসঙ্গ রাজেশ তোপে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যা গুজরাতের দ্বিগুণ ৷ অথচ গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র, দুই রাজ্যকেই 1 কোটি করে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৷’’

আরও পড়ুন : আইআইটি রুরকির 88 জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত

সমস্য়ার কথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে স্থির করেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ কোভিড সংক্রান্ত বৈঠকে তোলা হবে এই প্রসঙ্গ ৷ এর পাশাপাশি, ‘রেমডেসিভি’-র সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ, আশপাশের রাজ্যগুলি থেকে অক্সিজেন সরবরাহ এবং ভেন্টিলেটরের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার কথাও তোলা হবে বৈঠকে ৷

রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে 7 লাখের বদলে 17 লাখ করোনা টিকার ডোজ পাঠাবে কেন্দ্র ৷ কিন্তু মহারাষ্ট্রের এক সপ্তাহে প্রয়োজন 40 লাখ ডোজ ৷ ফলে 17 লাখেও সমস্য়া মিটবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মহারাষ্ট্র টিকার অভাব নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না ৷ উপরন্তু, মহারাষ্ট্রে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷ এমনকী, এর ফলে গোটা দেশের প্রচেষ্টা ব্য়াহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হর্ষ বর্ধন ৷

এর পাল্টা রাজেশ তোপে বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না ৷ আমরা কাউকে দোষারোপ করতেও চাই না ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.