হায়দরাবাদ, 4 অক্টোবর : ছয় জঙ্গির জন্য রাতের ঘুম উড়েছে তেলঙ্গানা পুলিশের (Telangana Police) ৷ অভিযোগ, পাকিস্তানে (Pakistan) বসে ওই জঙ্গিরা (Terrorist) কাজ করছে ৷ তাদের সঙ্গে হায়দরাবাদের বেশ কিছু যুবকের যোগাযোগ রয়েছে ৷ যারা এবার দশমীতে তেলঙ্গানার ওই শহরে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল ৷
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যে এই বিষয়টি জানতে পারলেও হায়দরাবাদের কাদের সঙ্গে ওই ছয় জঙ্গির যোগাযোগ রয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও সব জানতে পারেনি পুলিশ ৷ তাই ওই বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে তারা৷ ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাদের জেরা করেই বাকিদের সন্ধান চলছে ৷
তেলঙ্গানা পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন যুবক গত শতাব্দীর নয়ের দশকে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল ৷ তাদের মধ্যে তেলঙ্গানা ছাড়া অন্য রাজ্যেরও অনেকে ছিল ৷ সেই যুবকদের মধ্যে তেলঙ্গানার অন্তত 20 জন এখন পাকিস্তানে রয়েছে ৷ যাদের মধ্যে ছ’জন জঙ্গি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ৷
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বোমার বদলে প্লাস্টিক গ্রেনেড বিস্ফোরণের ছক রয়েছে জঙ্গিদের ৷ কারণ, প্লাস্টিক গ্রেনেড (Plastic Grenades) বিস্ফোরণে যাঁরা আহত হবেন, তাঁদের শরীরে প্লাস্টিক ঢুকে সেপটিক হয়ে যেতে পারে ৷ যার চিকিৎসা বেশ কঠিন ৷ ওই অস্ত্র পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছে ৷
পুরো ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে আবু সুফিয়ান নামে একজন স্বঘোষিত জঙ্গি ৷ যে গত 26 বছর ধরে পাকিস্তানে রয়েছে ৷ সেখান থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করে সে ৷ সেখান থেকে ভিডিয়ো বার্তায় এখানকার যুবকদের জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত হতে উস্কানি দেয় বলে গোয়েন্দাদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ৷ এছাড়াও তার সঙ্গে আরও একাধিকজন রয়েছে ৷
ফলে এখন এই ছ’জনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ধৃত তিনজনই ভরসা তেলঙ্গানা পুলিশের ৷ ওই তিনজনকে সোমবার নামপল্লি আদালত 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ তাদের আপাতত কড়া নিরাপত্তা চঞ্চলগুড়া জেলে রাখা হয়েছে ৷ পুলিশ তাদের জেরা করবে ৷ তবে সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্তভার শীঘ্রই এনআইএ (NIA)-র হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন : জঙ্গি সন্দেহে ভোপাল থেকে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি, এসটিএফ-এর অভিযানে সাফল্য