চামোলি, 23 ফেব্রুয়ারি : উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে হিমবাহ ফেটে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 60 জনের বেশি মানুষের ৷ নিঁখোজ এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 136 ৷ নিখোঁজদের খোঁজ এখনও জারি রয়েছে ৷ সন্ধানপর্ব দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এবার তাদের পরিবারকে ডিএনও পরীক্ষার জন্য ডাকা হল ৷
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে হড়পা বানে ভেসে যায় পুরো এলাকা ৷ অলকান্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ জলের তোড়ে ভেসে যায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ পাঁচটি সেতু ৷ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে এলাকার অন্যান্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ৷
7 ফেব্রুয়ারি মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয় নন্দাদেবী হিমবাহ ৷ তারপর থেকেই চামোলি জেলার দুটি সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৷ রাতদিন এক করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যায় বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা দল ৷ পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনী, আইটিবিপি, স্থানীয় পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী ৷
আরও পড়ুন : ইন্দোরে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত 6 পড়ুয়া
বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্রকল্পের জন্য স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র ৷ বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করলেও , সতর্কবাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক প্রকল্প ৷ আর এই উন্নয়নের মাশুল গুণতে হল উত্তরাখণ্ডের চামোলিবাসীকে ৷
2013 সালে লাগাতার বৃষ্টির পর উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে হড়পা বান ও ধ্বসের জেরে প্রাণ হারান 5700 জন ৷ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কেদারনাথ মন্দির ৷ বিশেষজ্ঞদের হঁশিয়ারি, বারবার একই ঘটনা ঘটে চলেছে উত্তরাখণ্ডে ৷ তারপরও যদি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে উত্তরাখণ্ডবাসী ৷