ধরমশালা, 31 অক্টোবর: গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ের (Gujarat Bridge Collapse) ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক বিজেপি সাংসদের 12 জন আত্মীয় (12 Family Members of BJP MP) ৷ সেতু দুর্ঘটনায় 12 জন আত্মীয়কে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গুজরাতের রাজকোটের সাংসদ মোহনভাই কল্য়াণজি কুন্দারিয়া (Mohanbhai Kalyanji Kundariya) ৷ রাজকোটের সাংসদ নিজেই সংবাদমাধ্যমে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ বলেন, "আমি আমার পরিবারের 12 জন সদস্যকে হারিয়েছি ৷ মৃতদের মধ্যে পাঁচ শিশুও ছিল ৷ মৃতরা সকলেই আমার বোনের পরিবারের সদস্য ৷"
সোমবার সকালে বলা হচ্ছিল, রবিবার সন্ধের ঘটনায় কমপক্ষে 140 জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁদের কাছে 141 জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে ৷ তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ৷ কারণ, দুর্ঘটনার পর থেকেই বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না ৷ তাঁদের অধিকাংশই আর বেঁচে নেই বলে মনে করা হচ্ছে ৷ মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে নদীতে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চলছে ৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকেও উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ৷ সোমবার সকালে মোরবি সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সেতু বিপর্যয়ে মৃতদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় ৷ তাতে মোট 99 জনের নাম রয়েছে ৷ তবে, সেই তালিকায় মৃতদের বয়স উল্লেখ করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: গুজরাতে সেতু ভেঙে বিপর্যয়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মর্মাহত দলাই লামার
ছটপুজো উপলক্ষে রবিবার বিকেলে মোরবির মাচ্ছু নদীর তীরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় 400 জন পুণ্যার্থী একসঙ্গে নদীর উপরে থাকা শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতুতে উঠে পড়েন ৷ সূত্রের খবর, এই সেতুতে ওঠার জন্য টিকিট কাটতে হয় ৷ প্রশ্ন উঠছে, একসঙ্গে এত মানুষকে সেতুতে ওঠার টিকিট বিক্রি করা হল কেন ! সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, বেশি টিকিট বিক্রি হলে যেহেতু বেশি রোজগার হবে, সেই কারণেই নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে দেদার টিকিট বিক্রি করা হয় ৷ কিন্তু, এত মানুষের ওজন সহ্য করতে পারেনি সেতুটি ৷ সন্ধেবেলা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি ৷
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং ম্য়ানেজারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্য়াটেল পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ৷ যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন আইএএস আধিকারিক ৷