সুলিয়া (কর্ণাটক), 2 জুন: ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য 3 বছর ধরে বড় করা চুল দান করল 11 বছরের বালক ৷ কেরল ও কর্ণাটকের সীমানায় অবস্থিত সুলিয়া জেলার মানিয়ুর গ্রামের বাসিন্দা রতীশ সিন্ধিয়া পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ৷ এত অল্প বয়সে তার এই মহান কাজ দক্ষিণ কর্ণাটকের ছোট্ট গ্রামকে খবরের শিরোনামে নিয়ে এসেছে ৷ আর ছেলের এই মহান কাজকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রতীশের বাবা-মা ৷
দক্ষিণ কর্ণাটকের সুলিয়ার মানিয়ুর গ্রামের বাসিন্দা নবীন রাও সিন্ধিয়া এবং তাঁর স্ত্রী ভবানী সিন্ধিয়া ৷ তাঁদের একমাত্র ছেলে রতীশ ৷ 3 বছর আগে মুল্লেরিয়া বিদ্যাশ্রী এডুকেশন সেন্টারে পড়াশোনা করার সময়ই সে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য চুলদানের সিদ্ধান্ত নেয় ৷ তার বাবা-মা জানিয়েছেন, 3 বছর আগে অর্থাৎ, মাত্র 8 বছর বয়সে রতীশ তাঁদের জানায় সে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য নিজের চুলদান করবে ৷ বাবা-মা হিসেবে রতীশের সেই কথা মেনে নিয়েছিলেন নবীন রাও সিন্ধিয়া এবং ভবানী সিন্ধিয়া ৷
তাঁরা জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে রতীশের চুল কাটানো হয়নি ৷ তিন বছর টানা চুল বড় করার পর সম্প্রতি সে নিজের চুল দান করেছে ৷ সুলিয়ার অমৃত গঙ্গা সমাজসেবী সংস্থার কর্মী উদয় ভাস্করের মাধ্যমে রতীশের কাটা চুল ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য দান করা হয়েছে ৷ বর্তমানে রতীশ সিন্ধিয়া পুত্তুরের ঈশ্বর মঙ্গল গজানন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ৷
আরও পড়ুন: দেখেছেন মা-দিদার কষ্ট, ক্যানসার দিবসে চুল দান জঙ্গলমহলের শিক্ষিকার
উল্লেখ্য, ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন কেমোথেরাপি এবং রে-ট্রিটমেন্টের কারণে রোগীর মাথার চুল পড়ে যায় ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে যার কারণে ক্যানসার আক্রান্তরা মানসিক অবসাদে ভোগেন ৷ লোক-সমাজ থেকে নিজেদের আড়াল করে নেন ৷ তবে, এটা শুধু তাঁদের মানসিক সমস্যা নয়, এর পিছনে সমাজের অপরিণত আচরণও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ৷ তাই সেই সব ক্যানসার আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে রতীশের মতো অনেকেই নিজেদের চুল দান করার মতো মহান কাজ করে চলেছে ৷