হায়দরাবাদ, 17 জুলাই:রিলস কিংবা ভ্লগ বানিয়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন আজকাল বেশ সহজলভ্য ৷ অর্থের আশায় ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বিভিন্ন রকম কনটেন্ট ক্রিয়েটে মজছে সাধারণ মানুষ ৷ এককথায় সোশাল মিডিয়ায় মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে ইউটিউব হয়ে উঠেছে সুরাহা ৷ শুধু মাত্র অর্থ উপার্জন নয়, ইউটিউবের মাধ্যমে নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় মানুষের মধ্যে ৷ শিক্ষা থেকে শুরু করে বিনোদন যে কোনও বিষয়ের উপর তৈরি করা যায় কনটেন্ট ৷ ইউটিউব চ্যানেল থেকে কী কী ভাবে লাভবান হতে পারেন আপনি, তার উল্লেখ রইল ৷
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া: ইউটিউবের কোন সীমানা নেই। সুতরাং, আপনি চ্যানেলের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারেবেন ৷ এক সময়ে YouTube চ্যানেল শুধু মাত্র তারকাদের হলেও, আজকাল আমজনতাও YouTube-এ চ্যানেল খুলতে পারেন ৷
মনিটাইজেশন: আপনি YouTube চ্যানেলে বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে তার থেকে সহজেই উপার্জন করতে পারেন ৷ বিজ্ঞাপন, চ্যানেল মেম্বারশিপ এবং সুপার চ্যাটের মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন করে সেটি বিক্রি করার সুবিধা থাকে ৷ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার আয় হতে পারে ইউটিউব থেকে। সেক্ষেত্রে গ্রাহকের সংখ্যা যত বাড়বে আপনার আয়ও বাড়ে।
ব্র্যান্ড বিল্ডিং: নিজের জন্য ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পারেন YouTube-এ ৷ আপনি সমাজে একটি অনন্য পরিচয় পাবেন। লোকেরা আপনার অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিত্ব এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে জানবে।
কীভাবে বাড়াবেন ইউ টিউবের গ্রাহক:
1. নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কনটেন্ট বানানো যায় ইউটিউবে ৷ তবে তার আগে খেয়াল রাখতে হবে নির্দিষ্ট বিষয়ে যেন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি শিক্ষক হন তবে, শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী টিউটোরিয়াল তৈরি করুন। ফলে সহজেই তা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে ৷ এইভাবে রান্না, গেমিং এবং ভ্রমণ বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরি করতে পারেন। তেমনই আপনি প্রযুক্তি, অটোমোবাইল এবং চলচ্চিত্র পর্যালোচনা করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেলে কোনও কোনও কনটেন্ট তৈরি করা সময় দর্শকদের কথা মাথায় রাখতে হবে ৷ কী ধরনের বিষয়বস্তু তাদের জন্য ভালো হবে? গ্রাহকরা কী ধরনের সামগ্রী পছন্দ করেন? সেই সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রেখে ভিডিয়ো তৈরি করুন ৷
2. উচ্চমানের সামগ্রী প্রদান করুন:
ইউটিবিউ চ্যানেলের ক্ষেত্রে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো কোয়ালিটি উপর নজর দিতে হবে ৷ এই দু’টি বিষয় ঠিক না-থাকলে আপনার কন্টেন্ট যত ভালোই হোক না কেন, দর্শকরা তা পছন্দ করবেন না। তাই ভালো ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও লাইটিং সেটআপ করতে হবে চ্যানেলের ভিডিয়োর জন্য ৷ নিজের জন্য একটি বিষয়বস্তু ক্যালেন্ডার তৈরি করুন। নিয়মিত ভিডিয়ো বানান। দর্শকদের করা মন্তব্যে বা চ্যানেলের কমেন্ট সেকশনে গ্রাহকদের প্রশ্নের জবাব দিন। গ্রাহকদের মতামতও সেক্ষেত্রে গ্রহণ করতে হবে।
3.সঠিক কীওয়ার্ডের ব্যবহার:
মনে রাখতে হবে কন্টেন্ট যত ভালোই হোক না কেন কী-ওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ৷ সঠিক কী-ওয়ার্ড না-দিলে ইউটিউবের ভিডিয়ো ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছবে না। চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়বে না। তাই Google Keyword Planner এবং Tube Buddy ব্যবহার করে উপযুক্ত কী-ওয়ার্ড, শিরোনাম, বিবরণ এবং ট্যাগ দেওয়া দরকার। এর ফলে ভিডিয়োর জনপ্রিয়তা বাড়বে ৷ পাশাপাশি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করতে হবে। তবেই ব্যবহারকারীরা আপনার ভিডিয়োতে ক্লিক করবে। আপনার কন্টেন্ট ভালো হলে সাবস্ক্রাইব করবে।