কৃষ্ণগঞ্জ, 2 জুন: বাংলাদেশের কেরু কোম্পানির চিনির মিলের ছাড়া বিষাক্ত কালো জলে এপার বাংলায় মাথাভাঙার শাখানদী চূর্ণীর তীরবর্তী মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত ৷ সারাবছর সমস্যা পোহাতে হয় মৎস্যজীবীদের । মাসে তিন থেকে চারবার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে মাথাভাঙা নদী হয়ে এই বর্জ্যমিশ্রিত বিষাক্ত ও দুর্গন্ধ যুক্ত কালো জল বাংলাদেশ থেকে আসে ভারতে ।
বাংলাদেশের কারখানার বিষে দূষিত এপারের চূর্ণী নদীর জল (নিজস্ব ভিডিয়ো) নদীর দূষিত জল পরীক্ষা করতে প্রায়ই ভারত সরকারের নদী দূষণ মন্ত্রকের কর্মীরা আসেন এবং রিপোর্ট জমা দেন । দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলছে এই একই কাজ । কিন্তু সরকার এই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের । নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিজয়পুর থেকে কৃষ্ণগঞ্জ পর্যন্ত মাথাভাঙা নদী দুই ভাগে বিভক্ত, ইছামতী ও চূর্ণী । দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইছামতী নদীতে কোনও জল থকে না । কিন্তু চূর্ণী নদীতে সারা বছর জল থাকে, আর এই জলই এখন বিষাক্ত ।
নদীতে কোনও মাছ নেই ৷ এই জল ব্যবহাররের অযোগ্য ৷ কৃষকরা তাঁদের চাষের কাজে এই বিষাক্ত জল ব্যবহার করতে পারেন না । এলাকাবাসীদের আক্ষেপ, ভোট আসে ভোট যায় ৷ প্রতিশ্রুতি মেলে ৷ কিন্তু নদীতে এই বিষাক্ত জল আসা বন্ধ হয় না ৷ অপরদিকে, এই বিষাক্ত জলের কারণে এখানে কোনওরকম মাছ চাষ করা যায় না ৷ মন্দিরে পুজো দিতে গেলেও দোকান থেকে জল কিনে এনে পুজো দিতে যেতে হয় । এতটাই খারাপ অবস্থা এই জলের ।
প্রতিবার সরকারের তরফে জল পরীক্ষা করতে আসে এবং সে ঘটনা দিনের পর দিন চললেও সুরাহা কিছুই ঘটেনি । জল পরিক্ষকরা জানাচ্ছেন, জলের অবস্থা খুবই খারাপ । এরকম ভাবে চলতে থাকলে জলের মধ্যে থাকা প্রাণীদের মৃত্যু হবেই । এই জল সাধারণ মানুষের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক জানা নেই, তবে জৈব বৈচিত্র্যে এই জল যত উপরের দিকে যাবে বাস্তুতন্ত্রের ততটাই ক্ষতি ঘটবে ।