কলকাতা, 27 নভেম্বর: বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবারের বিধানসভার ভিতরের ঘটনার আঁচ এবার দিল্লিতেও । বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উপরাষ্ট্রপতির পাশাপাশি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকেও চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সংবিধান দিবসে রাজ্য বিধানসভায় শোনা গিয়েছিল সাম্প্রতিক কালের বহুল চর্চিত একটি শব্দ বন্ধ ‘থ্রেট কালচার'। আর তা নিয়েই যত সমস্যা। মঙ্গলবার সংবিধান দিবসে বিধানসভায় রাজ্যের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য যে প্রস্তাব পেশ করা হয় তাতে ‘থ্রেট কালচার’ শব্দবন্ধের ব্যবহার ছিল ৷ আর তারপরেই প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি 'থ্রেট কালচার’ তৈরি করে রেখেছে। ওই প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি ৷ এবার তার প্রতিবাদে দিল্লিতেও চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
অন্যদিকে, সংবিধান না মানার অভিযোগ করছেন বিজেপি বিধায়করা। শংকর ঘোষ সরাসরি অভিযোগ করেছেন, এই সরকারের আমলে বিজেপি বিধায়করা তাঁদের বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে পারছেন না। তাঁদের খরচ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর থেকেই প্রমাণিত রাজ্যে বিপন্ন সংবিধান। এদিন বিধানসভায় আলোচনা শুরু হতেই ওয়াক-আউট করেন বিরোধীরা। বারবার অধ্যক্ষ তাঁদের অনুরোধ করে জানান, সংবিধান নিয়ে আলোচনায় ওয়াক-আউট ভালো দেখায় না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেননি বিরোধী বিধায়করা।
এরপরই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, এখানে সংবিধান মানা হয় না। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছিলেন, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কমিটিতে রাখেন। কিন্তু এখানে দলত্যাগীদের বিজেপি বিধায়ক বলে, কমিটির মাথায় বসানো হয়। এদিন অধ্যক্ষ বলেন, "বিরোধীদের 10টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছিল তারা গ্রহণ করেনি। বিধানসভার যে কোনও অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতার কাছে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ করা হয়। তিনি যোগ দেন না।"