শিলিগুড়ি, 25 জানুয়ারি: একেই হয়তো বলে স্বপ্ন পূরণ! খুব অল্প বয়সে পাখোয়াজ বাড়িয়ে অসামান্য কীর্তি স্থাপন শিলিগুড়ির ছেলে অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার পেল 13 বছরের অরিজিৎ। তার এই কৃতিত্বে গর্বিত উত্তরবঙ্গ, সঙ্গে গোটা রাজ্য, গোটা দেশ। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। সারা রাজ্যে একমাত্র অরিজিৎই প্রথম, যে এই পুরস্কার পেয়েছে।
'পাখোয়াজ' বাদ্যে তার অনবদ্য ভূমিকা নজর কেড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। আর সেই থেকেই উত্থান অরিজিতের। মঙ্গলবার দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের 19 জন মেধাবীদের সঙ্গে নৈশভোজ সারেন। তাদের মধ্যে একজন ছিল অরিজিৎ। তাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অরিজিতের সাফল্যে গর্বিত বাবা সঞ্জয় ও মা কেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোট থেকেই পাখোয়াজের প্রতি ওর অদ্ভুত একটা টান ছিল। খুব পরিশ্রম করেছে। যার জন্য আজ এই সফলতা পেয়েছে। কিন্তু আরও সাফল্য পেতে গেলে আগামিদিনে পরিশ্রম করে যেতে হবে।" মা কেয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোটবেলা থেকেই গান বাজনা নিয়ে ব্যস্ত থাকত অরিজিৎ । খুব পছন্দ করত। পাখোয়াজকে নিজের ভবিষ্যৎ হিসেবে তৈরি করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল পাখোওয়াজের মতো বাদ্যের কদর কমছে। অরিজিতের এই সাফল্য সমাজে আবার পাখোওয়াজের মতো বাদ্যের কদর বাড়াবে বলে আমরা আশাবাদী।"
মূলত, উত্থানটা হয়েছিল জি-20 সম্মেলন থেকে। সেখানে অরিজিৎকে পাখোয়াজ বাদ্য বাজাতে দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অরিজিৎকে। তার হাতের জাদুতে আর পাখোয়াজের সুরের মূর্ছনায় মজেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতেরও অভাব পূরণ হল মঙ্গলবার।