মালদা, 1 ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এর আগে বিভিন্ন সময় সেই নিয়োগ করার কথা উঠলেও রোস্টার বিতর্কে তা আটকে গিয়েছে ৷ উপাচার্য পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ নেন উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷
তিনি জানিয়েছেন, জটিলতা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে ৷ খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তাঁরা আশাবাদী ৷
2000 সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে 54 জন শিক্ষক ও কয়েকজন আধিকারিকের শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৷ 2021 সালে 11 জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয় ৷ এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে ৷ অভিযোগ উঠেছিল, রোস্টার-সহ একাধিক নিয়ম না মেনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ৷
তারপর থেকে আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি ৷ এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্মে ৷ এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী কোনও রেজিস্ট্রার নেই ৷ কয়েকজন আধিকারিককে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে ৷ একেকজনের কাঁধে দু’টি বা তিনটি পদের দায়িত্বও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে 62 জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা ৷ শূন্য রয়েছে 24 জন শিক্ষাকর্মীর আসনও ৷ আধিকারিকদের বেশ কিছু পদও ফাঁকা ৷ আশার কথা, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা দফতর এবার এই পদগুলিতে নিয়োগের সবুজ সংকেত দিয়েছে ৷ কত দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়, এখন সেদিকেই নজর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ৷
উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে 62টি আসন ফাঁকা ৷ এর মধ্যে 57টি আসন সংরক্ষিত ৷ 22 জন শিক্ষাকর্মীর পদও ফাঁকা রয়েছে ৷ এছাড়াও রেজিস্ট্রার, অডিট অফিসার, সিকিউরিটি অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার, পিএ টু ভিসি সহ একাধিক পদ ফাঁকা ৷ শিক্ষকরাই অস্থায়ীভাবে এসব পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ৷ শূন্যপদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ করা হলে শুধু কর্তৃপক্ষ নয়, উপকৃত হবেন পড়ুয়ারাও ৷ আশা করা যাচ্ছে, রাজ্য শিক্ষা দফতর এই পদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে ৷”