রামপুরহাট, 2 ফেব্রুয়ারি: "ঝাড়খণ্ডেও প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপারেশন লোটাস করতে চাইছে", বাংলা সফর শেষে ঝাড়খণ্ডে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রবেশের আগে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই বললেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। অর্থাৎ, বিজেপির বিরুদ্ধে আরও একবার বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগে সরব হল কংগ্রেস। অন্যদিকে, এদিনই হায়দরাবাদে নিয়ে আসা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের 39 জন বিধায়ককে ৷ যার মধ্যে কংগ্রেস বিধায়করাও আছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
তিনি আরও জানান, ইন্ডিয়া জোট বিধানসভার জন্য নয়, লোকসভা নির্বাচনের জন্য। বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র ও সংবিধান সুরক্ষিত নয়, তাই 27টি দল একসঙ্গে লোকসভায় লড়াই করবে ৷ প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডে এই মুহুর্তে রাজনৈতিক টালবাহানা চলছে, তাই বাংলা সফর শেষে রাহুল গান্ধির ঝাড়খণ্ড সফর যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই যায় ৷
পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা কর্মসূচির পঞ্চম দিন ছিল শুক্রবার ৷ শেষ দিন ঝড়খণ্ড সীমান্তের বীরভূমে ছিল তাঁর কর্মসূচি। যদিও, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য জাঁকজমকভাবে এই কর্মসূচি করতে পারেননি রাহুল। কারণ প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না। তারাপীঠের বুধিগ্রাম থেকে বীরভূম সফর শুরু হয় রাহুলের ৷ রামপুরহাটে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন সকলে। এখানেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ৷ তিনি বলেন, "ইন্ডিয়া জোট লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৷ কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নয় ৷ কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট থাকবে না ৷ কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে আমরা 27টি রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়ব। কংগ্রেস দেশের একমাত্র দল যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ-কোনওভাবেই বিজেপির সঙ্গ দেয়নি ৷"
বাংলা সফর শেষে রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা ঝাড়খণ্ডে ঢোকার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ কংগ্রেসের। সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। নতুনভাবে সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছে ৷ সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "বিহারে রাতারাতি সরকার হয়ে যাচ্ছে। আর ঝাড়খণ্ডে দেরি হচ্ছে ৷ সেখানে আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ তাও দেরি করছে। এর কারণ স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় চাইছেন যাতে ব্যবসা করতে পারেন ৷ এটার নাম 'অপারেশন লোটাস'। যার আসল নাম 'অপারেশন কিচর'।"